সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: লকডাউন পর্বে অনলাইনই ছিল অনেকের মুশকিল আসান!ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কনসেপ্ট। কিন্তু সেই অনলাইনেই চাকরি পেতে গিয়ে অভিনব প্রতারণার শিকার হলেন হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সপ্তর্ষি সামন্ত।

কীভাবে প্রতারণার ফাঁদে পা দিলেন এই যুবক?

পুলিশ সূত্রে খবর, একটি বেসরকারি সংস্থায় তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করতেন এই যুবক। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে তাঁর চাকরি চলে যায়।

এরপর থেকেই নতুন চাকরির সন্ধানে ছিলেন সপ্তর্ষি। লকডাউন চলায় চাকরি খোঁজা শুরু হয়েছিল অনলাইনেই। অভিযোগ সেখানেই লুকিয়ে ছিল প্রতারণার ফাঁদ!!!!

যুবকের দাবি, একটি নামজাদা ওয়াবসাইটে নিজের প্রোফাইল তৈরির পর একটি নামী তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম করে তাঁর কাছে চাকরির প্রস্তাব আসে। অনলাইনে পরীক্ষা, তাঁর শংসাপত্র যাচাই-সহ একাধিক কারণে তাঁর কাছ থেকে ৪৯ হাজার টাকা নেওয়া হয়। সেই টাকার রসিদও দেওয়া হয়।

এরপর অনলাইনেই হয় ইন্টারভিউ। তাতে নির্বাচিতও হন যুবক। তাঁর দাবি,এরপর কাজে যোগ দেওয়ার আগে ডিপোজিট মানি হিসেবে ১ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু টাকা দেওয়ার পর থেকেই গায়েব হয়ে যায় ওয়েবসাইটটি!!!

শেষমেষ প্রথমে উত্তরপাড়া থানা ও পরে চন্দননগর কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেন যুবক।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনার নেপথ্যে বড় কোনও অনলাইন প্রতারণা চক্র রয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

সম্প্রতি পরামর্শদাতা সংস্থা সিএমআই-র পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়,চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অগাস্টের মধ্যে ভারতে ২ কোটি ১০ লক্ষ বেতনভুক কর্মীর চাকরি গেছে।শুধু যে কম বেতনের কর্মীরাই চাকরি হারিয়েছেন, তা নয়। উচ্চ প্রশিক্ষিত বেশি বেতনের কর্মীরাও কাজ খুইয়ে বেকার হয়েছেন লকডাউনের সময়ে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি পেতে গিয়ে আবার প্রতারণার শিকার।