সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিকার সাত বছরের শিশুকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির মগরা থানা এলাকার বাঁশবেড়িয়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে শিশুর মায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে শিশুটি।
দিন কয়েক আগেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে ‘খুন করে’ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে এক স্বামী। চিত্পুরের ঘটনা। অভিযোগ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহে ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে খুন করে। এর পর চিত্পুর থানায় গিয়ে নিজেই আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত স্বামীর। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
চিৎপুর থানা এলাকার রাজা মণীন্দ্র রোডের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন নিহত মুনমুন দাস, তাঁর স্বামী ও সন্তান। ৮ জুলাই সকাল ১১টা নাগাদ মুনমুন দাসের স্বামী সঞ্জয় দাস থানায় যায় এবং পুলিশকে জানায় যে, সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। একথা জানতে পারে ঘটনাস্থলে যায় চিৎপুর থানার পুলিশ। ফরেন্সিক আধিকারিকরাও যান। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। মুনমুনের পরিবারের লোকজনদের দাবি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মুনমুনের স্বামী সন্দেহ করত। কারও সঙ্গে কথা বললেই সন্দেহ করত অভিযুক্ত। সেই সন্দেহেই খুন, নাকি অন্য কোনও কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর পর রবিবার প্রেমিকার সন্তানকে খেলতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় যুবক। শ্বাসরোধ করে খুন করে । শিশুর মায়ের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ওই যুবককে আটক করে মগরা থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ব্যান্ডেলে গঙ্গার ঘাটের ধারে ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ।
গতকালই কেরলের চেঙ্গানুর জেলায় আঁতকে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছে। কারণ একই, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। স্ত্রীর প্রেমিকের গোপনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালান এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে তিরুবল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে চেঙ্গানুর পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে। সোমবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে জানায়।