উত্তর ২৪ পরগনা: একবিংশ শতাব্দীতেও পণপ্রথার অন্ধকার! আবারও পণের জন্য গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ! এবার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর! গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
বছর দুয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার রেশমা খাতুনের সঙ্গে অশোকনগরের খোশদেলপুরের বাসিন্দা হাবিবুর সাহাজির বিয়ে হয়। দম্পতির এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের সময় পণ দেওয়া হলেও, প্রায়ই বিভিন্ন কারণে টাকা চেয়ে রেশমাকে চাপ দিতেন স্বামী হাবিবুর। বাপের বাড়িতে টাকার কথা না বললেই জুটত মার! এমনকী, বাপের বাড়ির তরফে কোনও উপহার দেওয়া হলেও, তা পছন্দ হয়নি বলেও রেশমার ওপর অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ।
মৃতার পরিবারের দাবি, শনিবার বিকেলে ফোন করে হাবিবুর তাঁদের জানান, রেশমা গুরুতর অসুস্থ। তড়িঘড়ি বারাসত সদর হাসপাতালে পৌঁছন রেশমার বাবা আশরফ আলি। কিন্তু, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। এমনকী, শ্বশুরবাড়ির কাউকেই সেখানে দেখতে পাননি বলে অভিযোগ।
রবিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের করে মৃতার পরিবার। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পণের জন্য নির্যাতনের কারণেই সম্ভবত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন রেশমা। খুনের অভিযোগও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এদিন রেশমার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাউকেই ঘরে পাওয়া যায়নি। তাঁরা পলাতক বলে দাবি পুলিশের।
উত্তরবঙ্গই হোক বা দক্ষিণবঙ্গ। রাজ্যে একের পর এক বধূর মৃত্যুতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। কবে সারবে এই অসুখ? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।