ইলামবাজার:  পণের দাবিতে মারধর, গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টা। আউশগ্রামে নির্যাতিতা গৃহবধূ। প্রাণে বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে সাইকেলে করে ৪০ কিলোমিটার পাড়ি রক্তাক্ত গৃহবধূর। রাস্তায় বার বার সংজ্ঞা হারিয়েছেন তিনি। জ্ঞান ফিরতেই ফের শুরু হয়েছে দৌড়। অবশেষে ইলামবাজারে বাপের বাড়িতে পৌঁছয় নির্যাতিতা বধূ। থানায় অভিযোগ দায়ের।


ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বধূর স্বামীর বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও ধরা পড়েনি কেউ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে।

এক সময় বাঁচাতে চেয়েছিলেন সংসারটা। বধূর দাবি, তাই মুখ বুজে সহ্য করেছেন স্বামীর অত্যাচার। কিন্তু আর নয়, এবার নিজেকে বাঁচানোর লড়াই।

রাতে বাড়ির সবাই যখন ঘুমিয়ে, তখনই শুরু হয় বধূর বাঁচার লড়াই। তাঁর দাবি, শ্বশুরবাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। রওনা দেন ইলামবাজারে বাপের বাড়ির উদ্দেশে। রাস্তায় বার বার সংজ্ঞা হারিয়েছেন। জ্ঞান ফিরতেই ফের শুরু হয়েছে দৌড়। বাঁচতে হবে যে!

১৫ বছর আগে বীরভূমের ইলামবাজারের নীড়ডাঙার বাসিন্দা এই মহিলার বিয়ে হয় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার রামনগর কলোনিতে। বধূ ও তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় পণের জন্য অত্যাচার।

তাঁদের দাবি, এক সময় সব ঠিক হয়ে যাবে, এই আশায় মুখ বুজে সব সহ্য করেন বধূ। কিন্তু অত্যাচার কমেনি। অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যায় ইট দিয়ে মেরে বধূর মাথা ফাটিয়ে দেন স্বামী। গোপনাঙ্গে লাথি মারার পাশাপাশি, গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে খুনের চেষ্টাও হয়।

রাত ১১ টা থেকে রাত আড়াইটে। তিন ঘণ্টারও বেশি সময়ে বধূ রাতের অন্ধকারে সাইকেলে পাড়ি দিয়েছেন প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা।

ক্ষত দিয়ে ঝরে গিয়েছে অনেক রক্ত। সেলাই পড়েছে চারটি। অত্যাচারিত গৃহবধূ এখন ভর্তি বোলপুর হাসপাতালে। ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্বামীর বিরুদ্ধে। কিন্তু এখনও ধরা পড়েনি কেউ।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে।