নাম সোনা হলে কী হবে, কীর্তি একেবারেই সোনার ছেলের মতো নয়!
প্রতিবাদী পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায়, আপাতত এই সোনা-ই পুলিশ হেফাজতে!
অভিযোগ, রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রতিদিনই কানে আসে মত্ত যুবকদের চিত্কার-চেঁচামেচি, রাত যত বাড়ে, ততই মাত্রাছাড়া হয় দাপাদাপি! ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে বুধবার রাতে। বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ করেন, আর তার জেরেই এই অবস্থা হল বাষট্টি বছরের এক বৃদ্ধের।
স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্ত্রীও। গড়ফা থানা এলাকার হালতু গার্ডেন রোডের এই বাড়িতেই থাকেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, কল্যাণেশ্বর গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, রাত এগারোটা নাগাদ, বাড়ির সামনের রাস্তায় বাইক দাঁড় করিয়ে কয়েকজন মদ্যপান করছিল। প্রতিবাদ করলে, চোখে একজন সজোরে ঘুসি মারে। পরে গেলে ফের মারধর করা হয়।
অভিযোগ, বাঁচাতে গেলে আক্রান্ত হন বৃদ্ধের ছেলে, রেহাই পাননি স্ত্রীও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মত্ত যুবকদের তাণ্ডব এলাকায় নতুন কিছু নয়। কিন্তু ভয়ে মুখ খোলা যায় না।
ঘটনায় সোনা দাস এবং শঙ্কর গায়েন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আক্রান্ত গৃহকর্তা বাঁ চোখে ভাল করে দেখতে পাচ্ছেন না। স্ত্রীর শরীরের অবস্থাও ভাল নয়। এই দম্পতির সঙ্গী শুধুই আতঙ্ক!