সুনীত হালদার, হাওড়া: সাত বছরের বালিকাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নির্যাতন করা হয় ওই নাবালিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন উত্তেজিত জনতা। বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। ভাঙচুর, আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বৃদ্ধের প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্ত বৃদ্ধ পলাতক। তার খোঁজ চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকড়া পুলিশ আউটপোস্ট।
জানা গিয়েছে, ডোমজুড়ের বাসিন্দা দীর্ঘদিন ওই এলাকায় মাদুলি ও কবজ বিক্রি করত। গত শুক্রবার বিকেলে বছর ৬৫-র ওই ব্যক্তি তার প্রতিবেশী ৭ বছরের মেয়েকে নিজের দোকানে ডাকে। চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় তাকে। এর পর তার দোকানের মধ্যে তিনি ওই নাবালিকার ওপর শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। এরপর বাড়ি ফিরলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বাবা-মা তাকে ডোমজুড় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকের থেকে মেয়েটির অভিভাবক গোটা বিষয়টি জানতে পারে। এর পরই বাঁকুড়া পুলিশ আউটপোস্টে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা।
এই খবর এলাকায় চাউর হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। আজ দুপুরে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত বৃদ্ধের দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যক্তির বাড়ির আসবাবপত্র রাস্তায় বের করে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তর খোঁজ মেলেনি। এলাকার মানুষ ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ এর আগেও সে নানা ধরনের অপকর্ম করেছে। পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আহত শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
মাস খানেক আগে খাস উত্তর কলকাতায় একই ধরনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। এক নাবালিকাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে পরিত্যক্ত ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল ওই আবাসনেরই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে।