হাওড়া:  শালিমারে যুব তৃণমূল নেতাকে খুনের পর আজও থমথমে এলাকা। বি গার্ডেন গেট এলাকায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। কয়েকটি রুটের বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে বি-গার্ডেন পুলিশ। তারা দুজনই বিহারে পালাচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে পাকড়াও করা হয়। আটক আরও ৩।


মঙ্গলবার  বিকেলে শালিমার স্টেশনের সামনে দিয়ে বাইকে চড়ে যাওয়ার সময়, গুলিবিদ্ধ হন যুব তৃণমূল নেতা। খুব সামনে থেকে মাথায় গুলি করে খুন করা হল যুব তৃণমূল নেতাকে। মৃত যুব তৃণমূল নেতার নাম ধর্মেন্দ্র সিংহ। বাড়ি শালিমার কয়লা ডিপো এলাকায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। গুলিতে জখম যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গীও।

যুব তৃণমূল নেতার খুনের  কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত। প্রোমোটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যুব তৃণমূল নেতা ধর্মেন্দ্র সিংহ। কয়েকবছর আগে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতারও হন তিনি। সেই পুরনো বিবাদের জেরেই খুন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খুনের পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আগুন লাগানো হল বাইকে। ভাঙচুর করা হল বাস ও দোকান!
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার বিকেলে শালিমার স্টেশনের সামনে দিয়ে এক সঙ্গীর সঙ্গে বাইকে করে যাচ্ছিলেন যুব তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি ধর্মেন্দ্র। রাস্তায় তাঁদের লক্ষ করে গুলি চালায় বাইকে চড়ে আসা দুই দুষ্কৃতী। গুলি লাগে ধর্মেন্দ্র মাথায়। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গীর পিঠে গুলি লাগে।

গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ধর্মেন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দুল রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। কলেজ ঘাট রোডে তিনটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তার ধারের দোকান ও ২টি বাসে ভাঙচুর করা হয়। হামলাকারীর সন্দেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি ফ্ল্যাটে।

ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত ভিকি সিংহ। তার ফ্ল্যাটে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় মঙ্গলবার বিকেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে যায় বিগার্ডেন ও শিবপুর থানার পুলিশ। নামানো হয় র‍্যাফ।

নিহত দলীয় কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে যান মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, ''আমাদের সহকর্মী মারা গেছে, বিরোধীদের হাত থাকতে পারে, সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না''

খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। খুনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।