সুনীত হালদার, হাওড়া: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে হাওড়া স্টেশনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত তিনদিন ধরে স্টেশনের ভেতরে এবং বাইরে আরপিএফ জওয়ান এবং জি আর পি কর্মীরা স্পেশাল চেকিং করছেন। এদিন দেখা গেল আরপিএফ এবং জিআরপির পদস্থ অফিসারদের নেতৃত্বে নিরাপত্তাকর্মীরা দূরপাল্লার এবং লোকাল ট্রেনে তল্লাশি চালাচ্ছে। যাত্রীদের লাগেজ স্নিফার ডগ দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্টেশনে ঢোকার আগে সব ধরনের গাড়িকে স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে স্ক্যান করা হয়। এর পাশাপাশি নিরাপত্তা কর্মীরা প্রত্যেকটা গাড়ি এবং লাগেজকে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর এবং পোডার দিয়ে পরীক্ষা করেন। আরপিএফ এবং জিআরপি পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার সিআইডি বোম ডিস্পোজাল স্কোয়াড এবং রাফ নামানো হয়। এর পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ নামানো হয়। জিআরপি সূত্রে খবর এখনো পর্যন্ত কোন সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই কোন ঢিলেমি দিতে রাজি নয় হাওড়া স্টেশনের নিরাপত্তাকর্মীরা।
স্বাধীনতা দিবসের আগে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন ডিআরএম। ইতিমধ্যেই রাজ্যে জঙ্গি সন্দেহে পাকড়াও একাধিক ব্যক্তি। তাই স্বাধীনতা দিবসের দিন সমস্তরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই কোমর বাঁধছে প্রশাসন। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশ দ্বার শিলিগুড়ি। আর বাগডোগরা বিমানবন্দর ও নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ হওয়ার কারণে কড়া নজরদারি চলছে সেখানে।
করোনা আবহে পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকলেও, সদা ব্যস্ত থাকে এই দুটি জায়গা। রেল দফতর থেকে বিধিনিষেধ মেনে প্রতিদিন কয়েক জোড়া স্পেশাল ট্রেন যাতায়াত করছে। অন্যান্যদিন নজরদারি চললেও স্বাধীনতা দিবসের জন্য নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাটিহারের ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী।
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের ব্যাগ ও স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলের আশপাশের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী। স্বাধীনতা দিবসের আগে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলতে নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। এ দিন স্নিপার ডগ নিয়ে গোটা স্টেশন ও স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়।