কলকাতা: গ্রন্থন সেনগুপ্ত। ২০১৮-র উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম। প্রচলিত অর্থে যাদের বইপোকা বোঝায়, জলপাইগুড়ির গ্রন্থন একেবারেই সেই দলে পড়ে না। সে নাটক করে, গায় লালন ফকিরের গান। পছন্দের লেখক প্রচেত গুপ্ত। আবার তন্ন তন্ন করে পড়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা।
জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করা গ্রন্থন দেখিয়ে দিয়েছে, কলা বিভাগে পড়াশোনা করেও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া যায়। ৫০০-য় সে পেয়েছে ৪৯৬, ভূগোল আর দর্শনে একশোয় একশো। বাংলায় ৯৯, ইতিহাসে ৯৮ আর ইংরেজিতে ৯০। ঐচ্ছিক বিষয় কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ৯৯। দিনে পড়েছে ঘণ্টাদশেক করে, দরকারে আরও বেশি। তবে গান-নাটকের ক্লাস কখনওই অবহেলা করেনি।
দ্বিতীয় তমলুকের হ্যামিল্টন হাই স্কুলের ঋত্বিককুমার সাহু। পেয়েছে ৪৯৩। মাধ্যমিকে প্রথম দশে আসতে না পারায় হতাশ হয়েছিল ঋত্বিক। সেই হতাশা সুদে আসলে মিটিয়ে দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকে।
বড় হয়ে ঋত্বিক কার্জিয়াক সার্জন হতে চায়। পড়ার ফাঁকে ভালবাসে ক্রিকেট খেলতে।
তৃতীয় দু’জন- বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের তিমিরবরণ দাস ও মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাভবনের শাশ্বত রায়। তিমির স্কুলে কখনও প্রথম হয়নি, ছিল না মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতেও। উচ্চ মাধ্যমিকে বাঁধাধরা রুটিন মেনে পড়েনি, মাঝরাতে ছাদে উঠে নিজের মনে খেলেছে, গিটার বাজিয়েছে। তা সত্ত্বেও উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছে ৪৯০।
অন্যজন শাশ্বত আবার ক্রিকেট পাগল। বাড়ি মেদিনীপুরের অরবিন্দনগরে। পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানী হতে চায় সে।
সোমবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল, তার আগে দেখে নিন গতবারের তিন সেরাকে
ABP Ananda, Web Desk
Updated at:
25 May 2019 12:10 PM (IST)
জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করা গ্রন্থন দেখিয়ে দিয়েছে, কলা বিভাগে পড়াশোনা করেও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হওয়া যায়। ৫০০-য় সে পেয়েছে ৪৯৬, ভূগোল আর দর্শনে একশোয় একশো।
NEXT
PREV
রাজ্য (states) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -