কালনা:  স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ। দেহ উদ্ধার পুকুর থেকে। পুকুরে কাপড় কাচতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু বধূর। পাল্টা দাবি শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। ঘটনা ঘিরে কালনা হাসপাতালে দুই বেয়ানের মধ্যে হাতাহাতি। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনল পুলিশ।


বুধবার সকালে কালনা ২ নম্বর ব্লকের গোপালদাসপুরে, শ্বশুরবাড়ির সামনের পুকুর থেকে উদ্ধার হয় জ্যোৎস্না গোস্বামী নামে এক বধূর দেহ। তাঁর বাপের বাড়ির অভিযোগ,

শ্বাসরোধ করে খুন করে, জ্যোৎস্নার দেহ পুকুরে ফেলে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

বছরখানেক আগে কালনার ২ নম্বর ব্লকের গোপালদাসপুরের বাসিন্দা তারকনাথ গোস্বামীর সঙ্গে পূর্বস্থলীর বেলের হল্ট গ্রামের বাসিন্দা জোৎস্না দাসের বিয়ে হয়। ৬ মাস আগে পুত্রসন্তানও হয় তাঁদের।

গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি,

এই সময় এক আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জোৎস্নার স্বামী তারকনাথ। সে কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন জ্যোৎস্না। সেকারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ বাপের বাড়ির।

এদিন সকালে জ্যোৎস্নার দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে যান মৃতার পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই মেয়ের মা ও ছেলের মায়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়।

পুলিশের সামনেই একে অপরের ওপর চড়াও হন তাঁরা। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাপের বাড়ির লোকজন। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন জ্যোৎস্নার স্বামী তারকনাথ।

গৃহবধূর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। পরিবারের তরফে কালনা থানায় বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।