সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পোলবার মহানাদে মা ও মেয়ে খুনে পুলিশের জালে অভিযুক্ত। মঙ্গলবার মন্তেশ্বর থেকে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৯ জুন পোলবার মহানাদে খুন হয় পিঙ্কি ওরাও ও তাঁর চার বছরের শিশু কন্যা ষষ্ঠী। দু-দিন পর বন্ধ ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছিলেন তাঁরা। 


পুলিশ পৌঁছে দেখেছিল বাইরে থেকে ঘর তালা বন্ধ। সেদিন তালা ভেঙে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, সন্তোষ পাল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মাস খানেক ধরে ভাড়া থাকছিলেন পিঙ্কি তাঁর মেয়ে এবং আরও এক ব্যক্তি। তবে এই ঘটনার পর বেপাত্তা হয়ে যান তৃতীয় ব্যক্তি।


দেহ উদ্ধারের পর স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, টানা তিনদিন ধরে মা ও মেয়েকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখেননি কেউ। দেখা মেলেনি ব্যক্তিরও। আজ বৃহস্পতিবার বেলার দিকে বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় পোলবা থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেখে বাড়ির টিনের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ। এরপর তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় মা ও মেয়েকে। 


পুলিশ জানতে পারে মতিয়ার সেখ নামে এক লরি চালক পিঙ্কির সঙ্গে থাকতেন। মতিয়ারের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। গতকাল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে মতিয়ার শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। ইঁট ভাঁটায় লরি চালানোর সুবাদে পিঙ্কির সঙ্গে মতিয়ারের পরিচয় মতিয়ার শেখের। তারপর বিয়ে করেন তাঁরা।


মহানাদে ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠে। মতিয়াকে জেরা করে পুলিশ জানিয়েছে, টাকার জন্য পিঙ্কিকে নিয়মিত চাপ দিত মতিয়ান। এই নিয়েই নিত্য ঝামেলা লেগেই থাকত তাঁদের। আর এই কারণেই মা ও মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঘর বন্ধ করে চাবি বাইরে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তবে শেষ রক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত পাকড়াও করা হয় ওই ব্যক্তিকে।