নয়াদিল্লি ও কলকাতা: শুক্রবার প্রকাশিত হল আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষার ফল৷ অন্যান্য বারের মতো এবারও দাপট অব্যাহত কলকাতার। আইসিএসই-তে প্রথম তিনে এ রাজ্যের ১৩ জন পড়ুয়া, আইএসসি-তে প্রথম তিনে এ রাজ্যের ১৬।
আইসিএসই-তে রাজ্যে যুগ্ম প্রথম অর্ক চট্টোপাধ্যায় ও ঐন্দ্রিলা ভদ্র। অর্ক লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ-এর ছাত্র। ঐন্দ্রিলা জোকার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের ছাত্রী। দু’জনেইর প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.৮ শতাংশ। ৯৮.৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে ৬ জন ছাত্রছাত্রী।



সেন্ট জোন্স স্কুলের মেধা গঙ্গোপাধ্যায় ও শ্রেয়া অগ্রবাল, হাওড়া সেন্ট মেরিজ কনভেন্ট স্কুলের সায়ন্তন প্রধান, লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজের দেবাংশ চন্দক, ইলিয়ট রোডের লরেটো ডে স্কুলের তুষিতা বসাক এবং ডিপিএস মেগাসিটির উন্নতি জৈন।
৯৮.৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে ৫ জন ছাত্রছাত্রী।
ব্যান্ডেলের ডন বস্কো স্কুলের ঋভু বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার এম সি কেজরিবাল বিদ্যাপীঠ অখিল অগ্রবাল, জোকার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের জ্যোতির্ময় রায়, দ্য আরিয়ান স্কুলের অরিত্র দাস এবং শিলিগুড়ির নির্মলা কনভেন্ট স্কুলের নিদ্ধা বসু।



অন্যদিকে, এদিন প্রকাশিত হল আইএসসি পরীক্ষার ফলও। আইএসসি-তে রাজ্যে যুগ্ম প্রথম পার্ক সার্কাসের ডন বস্কো স্কুলে অর্কদেব সেনগুপ্ত এবং ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটি স্কুলের কবিতা দেশাই। দু’জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.২৫ শতাংশ।
৯৮.৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে আইএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানে এ রাজ্যের ৭ ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে কলকাতার ৬ জন।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন, দার্জিলিং-এর সেন্ট জোসেফ কলেজের মৃণাল প্রধান, পার্ক সার্কাসের ডন বস্কো স্কুলের অনুরণ চক্রবর্তী ও আদিত্য বিক্রম শেঠ, ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের ঋত্বিকা হাজরা, ক্যালকাটা গার্লস হাইস্কুলের রূপকথা কর, ভবানীপুর গুজরাতি এডুকেশন সোসাইটি স্কুলের কেতুল মেহতা এবং জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনের আদ্রিজা ভোমিক।
৯৮.৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৭ জন। ইলিয়ট রোডের লরোটে ডে স্কুলের অমৃতা দাস, সেন্ট জেভিয়ার্স কলিজিয়েট স্কুলের প্রিয়ম মারিক ও বত্সল অগ্রবাল, লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজের দিব্যাংশ ঝুনঝুনওয়ালা, এম পি বিড়লা ফাউন্ডেশনের সায়ন মুখোপাধ্যায়, ক্যালকাটা বয়েজ স্কুলের ঐশিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সল্টলেক স্কুলের সায়ন্তনী সরকার।
এবছর ফ্রেব্রুয়ারিতে শুরু হয়ে এপ্রিলে শেষ হয় আইসিএসই ও আইএসসি পরীক্ষা। আইসিএসই-তে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি। আইএসসি-তে বসেন ৪৩ হাজার পরীক্ষার্থী। এবার নির্দিষ্ট সময়ের ২ সপ্তাহ আগেই প্রকাশিত হল দুই পরীক্ষার ফল।