কলকাতা: রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী কথা তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির টিকিটে। কিন্তু ভোটে বিপুল ভোটে হারতে হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনি ফের তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। এরইমধ্যে হেস্টিংসে বিজেপির দফতরে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে নেমপ্লেট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন কলকাতায় পৌঁছে একের পর বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ভোটের প্রচারে বিভেদের রাজনীতি, ধর্মীয় বিভাজনকে ইস্যু হিসেবে তুলে ধরাকে ভালভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। যাঁকে দেখে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসন দিয়েছে, তাঁকে বেগম, খালা বলা শোভনীয় নয়।


এভাবে নাম না করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজীব। 


ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  এ প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, বিরুদ্ধে ভোটে প্রার্থী না দিলে, সেটা হত বিজেপির গুড জেশ্চার।


প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয় অনেক দিন আগেই তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। শেষপর্যন্ত দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।


দলবদল করে বাবুল সুপ্রিয় মন্তব্য করেছেন, দিলীপ ঘোষের জন্যই ভোটে হেরেছে বিজেপি। এ ব্যাপারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এটা একান্তই বাবুলের ব্যক্তিগত মন্তব্য। তবে এটা ঠিক বিধানসভা ভোটের সময় যে সব বিভেদমূলক, বিভাজনমূলক মন্তব্য করা হয়েছিল, সেগুলি মানুষকে ভাবিয়েছে। তখনও এর বিরুদ্ধে ছিলাম। এ কথা তখন বহুবার বলার চেষ্টা করেছি।  যাঁকে মানুষ ২১৩ আসন দিয়েছে, তাঁর সম্পর্কে ওই ধরনের মন্তব্য একেবারেই শোভনীয় নয়।


রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ভবানীপুরে প্রার্থী না দিলেই ভালো করত বিজেপি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হবেন বলে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজীব।