কলকাতা : 'ওনার আগামী জীবন সুখের হোক' রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরানোর পর ট্যুইটারে বাবুলের পোস্ট। তবে এখানেই শেষ নয় ! আবারও দিলীপ ঘোষের বাংলায় ভুল ধরলেন তিনি। লিখলেন ... 'আমার বর্ণপরিচয়টা কিন্তু ওনার লাগবে'
তৃণমূলে যোগ দেওয়া ইস্তকই দিলীপ ঘোষকে নিশানা করে চলেছেন বাবুল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে দিলীপকে সরিয়ে দেওয়ার পরও সেই সিলসিলা জারি রাখলেন তিনি। ট্যুইটারে দিলীপ ঘোষের লেখার ভুল ধরে মোটা লাল কালি দিয়ে করলেন আন্ডারলাইন। লিখলেন, 'on a lighter note এটা বলতেই হচ্ছে যে আমার বর্ণপরিচয়টা কিন্তু ওনার লাগবে | "ভারতীয় নতুন রাজ্য সভাপতি..." মানে কি??? আবার ভুল বাংলা !!'
ট্যুইটারে দিলীপ ঘোষ প্রথমে সম্ভবত লিখেছিলেন, 'ভারতীয় নতুন রাজ্যসভাপতি হিসেবে ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানাই এবং তার সাফল্য কামনা করি |' সম্ভবত 'জনতা পার্টির' শব্দ দুটি তিনি মিস করেছিলেন। পরে অবশ্য তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সঠিক লেখাটিই দেখা যাচ্ছে। তিনি লেখেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টির নতুন রাজ্যসভাপতি হিসেবে ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানাই এবং তার সাফল্য কামনা করি |'
বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে দিলীপ ঘোষের মতানৈক্য বারবার প্রকাশ্যে এসেছে! বর্তমানে শিবির বদলে বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন! তারপর আরও বেড়েছে দু’পক্ষের দ্বৈরথ! বাবুল বলেন, ' দিলীপ ঘোষ রাজনীতিতে আমার জুনিয়র, ২১-এর নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের দায় দিলীপের, মুড়ি মিছরির মতো যখন দলে লোক নেওয়া হচ্ছিল, আমি প্রতিবাদ করি, তাই মন্ত্রিত্ব যায়
অতীতে একই দলে থাকলেও, বারবার দু’জনের মতপার্থক্য এবং তরজা সামনে এসেছে। জুলাই মাসে, মোদি মন্ত্রিসভার শেষ রদবদলে বাদ পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। তা নিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ধোঁয়া যখন আছে, তখন নিশ্চিতভাবেই কোথাও আগুনও লেগেছে! কিছুক্ষণ পরেই ফের বাবুল সুপ্রিয় পোস্ট করে বলেন, হ্যাঁ, আমাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে এবং আমি তা করেছি!!
এ নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় দিলীপ ঘোষকে! দিলীপ বলেন , ' তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করা হলে কি ভাল হতো?' এরপর CAA এবং NRC বিরোধিতা ঘিরেও দিলীপ ও বাবুলের তরজা চরমে ওঠে।