গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম:  বীরভূমের ইলামবাজারে স্যানিটাইজ করে বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদান। এই ঘটনা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিজেপির অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে দলবদল করিয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের পাল্টা কটাক্ষ, বিজেপি নামক ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।
কখনও গঙ্গাজল ছিটিয়ে তৃণমূলে নেওয়া, কখনও যোগদানের সময় ধান, তুলসি হাতে ধরিয়ে শপথ গ্রহণ করানো। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার আরও এক অভিনব পদ্ধতি। এবার স্যানিটাইজ করিয়ে দলবদল করানো হল। এর আগে মাইকে ভুল স্বীকার করে তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানাতে গিয়েছে নানা জায়গায়। কখনও আবার মাথা মুড়িয়ে তৃণমূলে ফেরার ঘটনাও সামনে এসেছে। এরপরই ইলামবাজারের এই দলবদলের ছবি দেখা গেল।
ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই, বীরভূমজুড়ে দলে দলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ইলামবাজারে দেখা গেল অভিনবত্বের ছবি। দেবীপুর গ্রামের ১৫০ জন বিজেপি কর্মীকে রীতিমতো স্যানিটাইজ করিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হল। 
এক দলত্যাগী বিজেপি কর্মী বলেছেন, আমরা ভুল করেছি তাই স্যানিটাইজ করা হয়েছে। ভুল করেছি শুধরে নিয়েছি।  ওদের সমর্থন করা জরুরি বলে মনে করি। আমরা তৃণমূলকে জেতানোর লক্ষ্য  নিয়েছি, আর যাতে ভুল না হয়।
অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ফের দলবদল ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বীরভূমের  এক বিজেপি নেতা  বলেছেন, তৃণমূল নামের ভয়ঙ্কর ভাইরাস গণতন্ত্রকে খতম করেছে। মানুষ ওদের নিষ্কাশিত করবে বাংলা থেকে। এদেরকে শাসক দল ভয় দেখিয়ে বাধ্য করাচ্ছে দলবদল, করতে। 
অন্যদিকে ইলামবাজারের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফজলুর রহমান বলেছেন, ওদের বিজেপি নামক ভাইরাস থেকে স্যানিটাইজের মাধ্যমে মুক্ত করলাম। 
ইলামবাজারের দেবীপুর গ্রাম বোলপুর বিধানসভার অন্তর্গত।বিধানসভা ভোটে বোলপুর আসনটি তৃণমূল জিতলেও, দেবীপুরের বুথে ৪০০ ভোটের লিড ছিল বিজেপির। 
ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে জেলার নানান জায়গায় বিজেপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের পর্ব চলছে। কোথাও কোথাও আবার ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা বাড়িতে ফিরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।