উত্তরপাড়া, সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় : ভ্যাকসিন সমস্যা মেটার যেন কোনও লক্ষণ নেই। আজ থেকে ফের ৪ লক্ষ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে গতকালই নবান্নে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, মাঝ রাত থেকে ভ্যাকসিনের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর পরেও, সকালে ভ্যাকসিন মিলবে না বলে নোটিস দেখতে হল। উত্তরপাড়ার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হাজির হয় পুলিশ।


বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তরপাড়া পুরসভার গণভবনে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার দিন মাইকে প্রচার করে জানিয়ে দেওয়া হয়। সেইমতো সকাল থেকে চলে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার কাজ। আজ ভোররাত থেকে ভ্যাকসিন নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন লোকজন। কিন্তু, সকালে তাঁরা দেখেন, পুরসভার তরফে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, "ভ্যাকসিনের জন্য লাইনে দাঁড়াবেন না"। অর্থাৎ আজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না। এই নোটিস দেখার পর উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।


ভ্যাকসিনের লাইনে দাঁড়ানো লোকেদের অভিযোগ, তাঁরা বুঝতে পারছেন না কী করে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে ! কয়েকদিন ধরে ঘুরেও ভ্যাকসিন মিলছে না। 


প্রসঙ্গত, ১৮ বছর বয়সী ও তার ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হতেই সেন্টারগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। উত্তরপাড়াতেও তাই হয়েছে। যেদিন নোটিস দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন হবে না, সেদিনই বেলায় আবার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিনের সাপ্লাই না থাকায় আজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। ভ্যাকসিন এলে জানিয়ে দেওয়া হবে।


গতকালই মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্র থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন পেলে, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া যেত। আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। ৩ কোটি ভ্যাকসিন পেলে আমরা ২ কোটি টিকা নিতাম, ১ কোটি ভ্যাকসিন বেসরকারি ক্ষেত্রে দেওয়া হত।


তিনি আরও জানান, করোনা ভ্যাকসিনের ২ কোটি ডোজ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৩৩ লক্ষ সুপার স্প্রেডারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।