গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও নান্টু পাল, রামপুরহাট: এবিপি আনন্দের খবরের জের। অবশেষে বীরভূমের রামপুরহাটের বেআইনি গবাদি পশুর হাট বন্ধ করে দিল পুলিশ। এই ঘটনায় পাঁচজন বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


মারণ করোনা ভাইরাসকে বাগে আনতে ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বলবৎ রয়েছে কার্যত লকডাউন। জারি করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। কিন্তু যাবতীয় সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বীরভূমের রামপুরহাটে এভাবেই রমরমিয়ে চলছিল বেআইনি গবাদি পশুর হাট। এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারিত হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে বন্ধ করে দেওয়া হয় হাট।


বৃহস্পতিবার সাতসকালেই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, গবাদি পশুর হাট বসানো হয়। ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে উধাও হয়ে যায় করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষাবিধি। এতেই প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।


এবিপি আনন্দে এই খবর দেখার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। বেলা ১২টা নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয় গবাদি পশুর হাট।


বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, ‘কীভাবে বেআইনি হাট বসল রামপুরহাটের এসডিও ও এসডিপিও-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছি।’


এই ঘটনায় ৫ পশু বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


অন্যদিকে, করোনা বিধি ভঙ্গ করার ছবি দেখা গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও। দাসপুরের ঝুমঝুমি এলাকায় করোনা বিধি ভেঙে বুধবার একটি বিয়েবাড়িতে ভিড় করেন হাজারখানেক আমন্ত্রিত ব্যক্তি। অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক। বালাই  ছিল না কোনও সুরক্ষা-বিধির। পুলিশ যেতেই পালাতে শুরু করেন আমন্ত্রিতরা।


প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে, বিয়ে বাড়িতে ৫০ জনর বেশি আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই আমন্ত্রণ করা হয় প্রায় এক হাজার জনকে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে পৌঁছে যায় দাসপুর থানার পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগে পাত্রী ও পাত্রর বাবার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে।