সোমনাথ দাস, দাসপুর: করোনা আবহে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বিয়েবাড়িতে প্রায় হাজারখানেক আমন্ত্রিতের ভিড়। খবর পেয়ে হানা পুলিশের। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ঘটনা।  পাত্রী ও পাত্রের বাবার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ।


করোনা আবহে বিয়েবাড়ি, সোশাল গ্যাদারিং। সেখানে হানা দেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক। প্রকাশ্যেই আমন্ত্রিতদের হুমকি দেন, চড় মারেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। বিতর্কের মুখে ক্ষমা চান শৈলেশ কুমার যাদব নামে সেই প্রশাসনিক কর্তা।


এবার প্রায় একই রকম ঘটনা এই রাজ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ঝুমঝুমি এলাকায়। করোনা বিধি ভেঙে বুধবার এলাকার একটি বিয়েবাড়িতে ভিড় করেন হাজারখানেক আমন্ত্রিত। অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক। বালাই  ছিল না কোনও সুরক্ষা-বিধির। পুলিশ যেতেই পালাতে শুরু করেন আমন্ত্রিতরা।


প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে, বিয়ে বাড়িতে ৫০ জনর বেশি আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই আমন্ত্রণ করা হয় প্রায় এক হাজার জনকে। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে পৌঁছে যায় দাসপুর থানার পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, নিয়মভঙ্গের অভিযোগে পাত্রী ও পাত্রর বাবার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। 


গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৯ হাজারের নীচে। একদিনে করোনা আক্রান্ত হন ৮,৯২৩ জন। উদ্বেগ বজায় রেখে রাজ্যে একদিনে করোনায় ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। গতকালের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে উত্তর ২৪ পরগনাই শীর্ষে। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে মৃত ৪৩, আক্রান্ত ১,৮৬০ জন। কলকাতায় একদিনে ৩৮ জনের মৃত্যু, সংক্রমিত ১ হাজার ৪০ জন। 


কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যে অনেকের মধ্যেই সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। দাসপুরে সেই ঘটনাই দেখা গেল। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না। স্বাস্থ্য দফতর খবর পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।