কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নিষিদ্ধ শব্দবাজিকে জব্দ করতে আছে কড়া নির্দেশিকা। লাগাতার অভিযানও চালাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু, এবারও বদলাল না ছবিটা। নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার!
যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি। রাজ্যে বাজির আঁতুড়ঘরগুলির মধ্যে অন্যতম। এখান থেকে গোটা রাজ্যে বাজি সরবরাহ হয়। আর এই বাজারেই চলছে বেআইনি বাজির বিকিকিনি। কেউ করছেন প্রকাশ্যে, কেউ লুকিয়ে-চুরিয়ে।
কিন্তু, পুলিশের অভিযান-নজরদারি সত্বেও কীভাবে চলছে এসব? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পুলিশ টাকা নেয়, আমরা বিক্রি করবই। এসব (ধরপাকড়) লোক দেখানো। শুধু বিক্রি নয়, ক্রেতার যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকেও নজর বেআইনি বাজি বিক্রেতাদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুঙ্গিতেও একই ছবি। প্রকাশ্যে বিকোচ্ছে সাধারণ আতসবাজি। কড়ি ফেললেই মিলবে শব্দদানব! যার যত আওয়াজ, তর তত দাম। চলছে শব্দদানবের কারবার।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, আমরা রেড করেছি, নাকা চেকিং চলছে।  খবর পেলে রেড করি।
পিছিয়ে নেই কলকাতাও। হরিদেবপুরেও এক ছবি। বোমার আওয়াজ কেমন, তাও শুনিয়ে দিচ্ছেন দোকানি! কিন্তু কীবাবে জব্দ করা যাবে শব্দ দানবকে? আদৌ কি যাবে? উত্তরটা মিলবে কালীপুজোর রাতে।
নিষিদ্ধ শব্দবাজি নিয়ে খোদ পরিবেশমন্ত্রীর গলায় হতাশার সুর!  শোভন চট্টোপাধ্যায় বলছেন, এবছর আমরা কিছু করতে পারলাম না, পরের বছর চেষ্টা করব।