রণজিৎ হালদার, সোনারপুর: ফের বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্পের হদিশ। ক্যাম্প চালানোর অভিযোগ উঠল খোদ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে কোভিশিল্ডের দুটি ভায়াল। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মিঠুন মণ্ডল ডায়মন্ড হারবার পঞ্চগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট। একইসঙ্গে তিনি ডায়মন্ড হারবারের মশাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করতেন। 


পুলিশের দাবি, গতকাল সোনারপুরের রূপনগরে চলছিল বেআইনি ভ্যাকসিন ক্যাম্প। খবর পেয়ে পুলিশ হাতেনাতে পাকড়াও করে স্বাস্থ্য দফতরের ওই কর্মীকে। অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, টাকার বিনিময়ে ৩০-৪০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। ভ্যাকসিন আসল কিনা জানতে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। এ


পাশাপাশি পুলিশের অনুমান অভিযুক্ত একা নন, স্বাস্থ্যদফতরের বেশকিছু কর্মী একত্রে হয়ে এই বেআইনি টিকাকরণ চালাচ্ছিল, তবে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এই চক্রে আদতে স্বাস্থ্য দফতরের আর কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রত্যেকের থেকেই টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হত। ভ্যাকসিন পিছু কারও কাছ থেকে ৫০০, কারও কাছ থেকে ৭০০ টাকা নিচ্ছিল অভিযুক্তরা। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এ পর্যন্ত কোনও সার্টিফিকেট পাননি গ্রহিতারা। 


রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল। বিভিন্ন জায়গায় ধরা পড়েছে অসাধু কর্মকাণ্ড। তারমধ্যেই জায়গায় জায়গায় ভুয়ো ক্যাম্পের হদিশ। কসবার দেবাঞ্জনের ঘটনার পর থেকেই ভ্যাকসিনকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কার্যত তোলপাড় রাজ্য। 


অন্যদিকে ভ্যাকসিন আকালের কারণে হয়রানির ছবিটাও বলদাচ্ছে না। বৃষ্টির মধ্যেই রাত থেকে চেতলায় ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের লম্বা লাইন। ছাতা মাথায় রাস্তাতেই বসে পড়েছেন অনেকে। তবে ভ্যাকসিন মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অন্যদিকে গতকাল থেকেই এসএসকেএমে কোভ্যাক্সিনের আকাল। আজও লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় রয়েছেন বহু মানুষ। ভ্যাকসিন নিতে এসে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরে পড়ার সম্ভাবনা। তাই ছাতার পরিবর্তে মাথায় প্লাস্টিক জড়িয়ে নিয়েছেন অনেকেই।