বামনগাছি: উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছিতে আত্মঘাতী ছাত্রী। মেয়েটি ক্লাস টেনে পড়ত। ভাল ছবি আঁকত, পড়াশোনাতেও ভাল ছিল। স্বপ্ন দেখত, বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষের হওয়ার। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। শেষ জীবন, শেষ স্বপ্ন।


বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় দশম শ্রেণির ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, বছরখানেক ধরে ছাত্রীকে উত্যক্ত করছিলেন প্রতিবেশী যুবক মৃগাঙ্ক দাস। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, রাজি হয়নি ছাত্রী ও তার পরিবার। অভিযোগ, এরপরই ফেসবুকে ছাত্রী ও তার দিদিকে মেসেজ পাঠাতে শুরু করেন মৃগাঙ্ক। বিয়ে না করলে, প্রতিবেশী এই যুবক আত্মহত্যারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ফেসবুকে লাগাতার বিয়ের প্রস্তাব। আত্মহত্যার হুমকি। এই চাপ নিতে পারছিল না ১৫ বছরের মেয়েটি। তার জেরেই নিজেকে শেষ করে দেওয়া।

শুধু প্রতিবেশী যুবকই নন, তাঁর মায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার। দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় নাবালিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ক্যুরিয়র সংস্থার কর্মী অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর মা। কিন্তু কেন অকালে চলে যেতে হল স্কুলছাত্রীকে? অনেকেরই প্রশ্ন, কেন ‘না’ বলার অধিকার থাকবে না?