দার্জিলিং: বনধের শুরুতেই দার্জিলিঙের বিজনবাড়িতে বিডিও অফিসে তাণ্ডব চালাল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থকরা। ১০ মোর্চা সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ভোরে কয়েকজন মোর্চা সমর্থক এসে বিডিও অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাশেই দমকল কেন্দ্র থাকায় ছুটে আসেন দমকলকর্মীরা। দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন তাঁরা। মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা বন্ধ করে দেয় সুকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। পরে পুলিশ গিয়ে অফিস খুলে দেয়।


স্কুলে বাংলা পড়ানো নিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ থেকে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বনধের আওতায় রয়েছে সমস্ত সরকারি অফিস ও ব্যাঙ্ক। সকাল থেকে সরকারি অফিসগুলির সামনে পিকেটিং করার কথা রয়েছে মোর্চা সমর্থকদের। হোটেল, পরিবহণ, স্কুল-কলেজ, দোকানপাটকে অবশ্য বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। সোম ও বৃহস্পতিবার খোলা থাকবে ব্যাঙ্কও।

বনধের জেরে সকাল থেকেই বন্ধ টয় ট্রেন পরিষেবা। কার্শিয়ং থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় শুরু হয় টয় ট্রেনের যাত্রা। আজ টিকিট কাউন্টার বন্ধ। ফিরে আসছেন পর্যটকরা। স্টেশন চত্বরে লাগানো মোর্চার পতাকা। এর আগে মোর্চার আন্দোলনের জেরে ৮ ও ৯ জুনও বন্ধ হয়ে যায় টয় ট্রেন চলাচল।

সরকার অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। সরকারের আশ্বাস, সব ধরনের পরিষেবা যাতে সচল থাকে, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলা এড়াতে পুলিশকর্মীদের জন্য হেলমেট ও বিশেষ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, সকালে দার্জিলিং মেলে শিয়ালদায় পৌঁছেছেন পর্যটকরা। এবারের বেড়ানোর অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। মোর্চার ডাকা বনধের জেরে অধিকাংশ পর্যটকই ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। কেউ কেউ হোটেল ছেড়ে বের হতেই পারেননি। ফলে বাতিল হয়েছে বেড়ানোর প্ল্যান। কলকাতায় পৌঁছে এমনই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পর্যটকরা।