সমীরণ পাল, বনগাঁ: করোনা বিধি মেনেই দেশে পালিত হচ্ছে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। রাজ্যেও একাধিক জায়গায় পালিত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। আজকের দিনটিতে স্মরণীয় করে তুলতে ভারত-বাংলাদেশের বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হলো সাড়ম্বরে।


করোনা বিধি মেনেই ভারত-বাংলাদেশের বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফের) পক্ষ থেকে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। রবিবার সকালে বিএসএফ-এর তরফ থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয় । জওয়ানদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মিষ্টি। পতাকা উত্তোলনের পরে বিএসএফ জওয়ানদের প্রশিক্ষিত কুকুরদের নিয়ে একটি ডগ শো এর আয়োজনও করা হয়।  সীমান্তের এই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমিয়েছিল দূর-দূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষ।


এদিকে, রাজ্যে এখনও করোনা দাপট রয়েছে। সেই আবহে দর্শকশূন্য রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রেড রোডে পালিত হল স্বাধীনতা দিবস উদযাপন। গতবারের মতো এবারও দর্শকশূন্য ছিল গোটা অনুষ্ঠান। মাত্র আধঘণ্টার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’  ও ‘খেলা হবে’, ‘দুয়ারে সরকার’, ‘দুয়ারে রেশন’, ‘পাড়ায় সমাধান’ সহ রাজ্য সরকারের মোট ৯টি ট্যাবলো।


মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির রাজ্য দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের নানা জায়গায় পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসে কোচবিহারে জেলাশাসকের কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। বহরমপুর সার্কিট হাউস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী।বারাসাতে ৭৫ ঊর্ধ্ব মহিলাদের দৌড়ের আয়োজন করা হয়। আজ সকালে বারাসাত-ব্যারাকপুর রোডে এই দৌড়ের আয়োজন করা হয়। কয়েকহাজার প্রতিযোগী অংশ নেন সেই অনুষ্ঠানে। 


অন্যদিকে, স্বাধীনতা দিবসে  লালকেল্লা থেকে ভাষণে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী।  স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব দেশে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করবে বলে আশা প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী।