হাসিমারা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে হাসিমারায় এসে পৌঁছল রাফাল যুদ্ধবিমান। এদিন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদৌরিয়ার পৌরহিত্যে পুনর্গঠিত ১০১ স্কোয়াড্রনে সরকারিভাবে রাফাল যুদ্ধবিমানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার এওসি-ইন-সি এয়ার মার্শাল অমিত দেব।
এদিন বিমান অবতরণ করলে তাকে জলকামান দিয়ে প্রথামাফিক অভ্যর্থনা জানানো হয়। এর আগে, তিনটি রাফাল যুদ্ধবিমান মাঝ-আকাশে ফ্লাই-বাইয়ের মাধ্যমে তাদের আগমনের জানান দেয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বায়ুসেনা প্রধান বলেন, হাসিমারায় ভীষণ ভাবনাচিন্তা করেই রাফাল বিমানকে হাসিমারায় মোতায়েন করা হচ্ছে। এর ফলে, পূর্বাঞ্চলে বায়ুসেনার শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
রাফালের জন্য ১০১ স্কোয়াড্রন 'ফ্যালকন্স অফ ছাম্ব অ্যান্ড আখনুর'- কে পুনর্গঠন করেছে বায়ুসেনা। ১৯৪৯ সালে পালমে এই স্কোয়াড্রনের গঠন হয়েছিল। অতীতে এই স্কোয়াড্রনের আওতায় ছিল হার্ভার্ড, স্পিটফায়ার, ভ্যাম্পায়ার, এসইউ-৭ এবং মিগ-২১এম যুদ্ধবিমানগুলি।
এই স্কোয়াড্রন ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিল। ২০১১ সালে এই স্কোয়াড্রন অবসর নেয়। এখন, রাফাল আসায় এই স্কোয়াড্রনকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
Rafale Jets: শীঘ্রই আসছে রাফাল, নতুন রূপে সেজে উঠেছে হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশন
স্কোয়াড্রনের সোনালী অতীতের কথা স্মরণ করে এদিন বায়ুসেনা প্রধান বলেন, নতুন রূপে গঠিত এই স্কোয়াড্রন তার পুরনো গরিমা ও ঐতিহ্যকে অটূট রাখবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, হাসিমারা হল দেশে রাফালের দ্বিতীয় হোম বেস। প্রথম বেসটি হল অম্বালা। সেখানকার স্কোয়াড্রন পুরোপুরি চালু হয়ে গিয়েছে।
রাফালের জন্য হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশনকে একেবারে নতুন রূপে গড়ে তোলা হয়েছে। এয়ারবেসের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।
বায়ুসেনা সূত্রের দাবি, অবস্থানগত দিক গিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলায় অবস্থিত হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশন ভারতের কাছে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই ঘাঁটি ভারত-ভূটান-তিব্বত সংযোগস্থল (ট্রাই-জংশন) চুম্বি উপত্যকা থেকে একেবারে কাছে।
সম্প্রতি, হাসিমারা স্টেশনের দায়িত্ব নিয়েছেন এয়ার কমোডোর আশিস শ্রীবাস্তব। ফাইটার পাইলট হিসেবে তাঁর বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে। জাগুয়ার থেকে শুরু করে মিরাজ-২০০০, তেজস থেকে শুরু পণ্যবাহী--- প্রায় ১৮ ধরনের বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে।