কলকাতা: আকাশপথে আজ ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হয়েছে, প্রশাসন ব্যস্ত ছিল। মাত্র দু’দিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক করা সম্ভব? অন্যান্য রাজ্যে বিপর্যয়ের পর কত সময় লেগেছিল? আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। মানুষ আরও অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা কীভাবে সহ্য করছেন? পুলিশ লকডাউন সামলাবে, নাকি ঝড় সামলাবে? এই পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র রাজনীতি করবেন না। দুর্যোগ যখন আসে, তখন সহ্য করতে হয়। আয়লার সময় আমি সমালোচনা করিনি। দয়া করে একটু ধৈর্য্য ধরুন। সিইএসসি রাজ্য সরকারের অধীনে নেই। সিপিএমের আমল থেকে কলকাতায় সিইএসসি। কর্মীর অভাবে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। বড় বড় গাছ কাটতে দক্ষ কর্মী নেই। ২২৫টি দল সারারাত ধরে কাজ করবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে। সারা বাংলায় এক হাজারটি দল কাজ করছে। ৪-৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করব। জেনারেটর দিয়ে সিএসসিকে পরিস্থিতি সামলাতে বলেছি। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪৫ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। সেখানে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ করতে সময় লাগবে। যাঁরা কাজ করছেন তাঁরাও মানুষ।’


ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সোসাইটি গঠন। ঝড়-বিধ্বস্ত রাজ্য পুনর্গঠনে ত্রাণ তহবিল গঠন মুখ্যমন্ত্রীর।

চলছে রমজান মাস। কয়েকদিন পরেই ইদ। সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইদে প্রত্যেকবার আমি নমাজে যোগ দিই। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মীয় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাড়িতে বসে ইদ উৎসব পালন করুন। পয়লা বৈশাখেও কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেনি। সংক্রমণ রুখতে বাড়ি থেকেই প্রার্থনা করুন। কারও উস্কানিতে কান দেবেন না।’

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২৫ মে থেকে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা চালু হবে। ২৭ তারিখ থেকে ফের পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন আসবে। আপনারাই নিশ্চিত করুন, ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। জেলায় পৌঁছনোর পর করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। স্টেশনে হবে থার্মাল স্ক্রিনিং। এই দুর্যোগে নিজের বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে থাকুন। যাঁরা ফিরছেন ১৪ দিন বাড়ি থেকে বেরোবেন না।’