কলকাতা: রাজ্যপাল ডাকা সত্ত্বেও মুখ্যসচিব ও ডিজি রাজভবনে না আসায় ফের ট্যুইটারে সরব হলেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhakhar)। এদিন তিনি ট্যুইটারে লেখেন, ‘মুখ্যসচিব ও ডিজি ফের রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছেন। তিনদিনের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার।  শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করার উদাহরণ।  পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নয়। ’
 


প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari ) নেতাই সফর ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁরা আইসোলেশনে থাকার জন্য বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব ও ডিজি। ফের তাঁদের তলব করেন রাজ্যপাল।        


নেতাইয়ে ‘শহীদ স্মরণে’ থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু নেতাই যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেয় পুলিশ। এই ঘটনার জেরে প্রায় ২৫ মিনিট পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দুর বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে শুভেন্দু বলেন, "হাইকোর্টের আদেশ নিয়েই এখানে এসেছিলাম, পুলিশ বাধা দিয়েছে। একাই নেতাইয়ে ঢুকতে চেয়েছিলাম, পুলিশ অনুমতি দেয়নি।" 


আরও পড়ুন, ‘গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে’, ঘোষণা মমতার


ঝাড়গ্রামের নেতাইয়ে মৃতদের স্মরণে ৭ জানুয়ারি শহীদ বেদীতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়ে ২ জানুয়ারি রাজ্যের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন, কোনও জায়গায় যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারীর অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকায়, তাঁকে যাওয়া-আসার সময়েও নিরাপত্তা দেবে সরকার, এর আগে এমনটাই জানান হয়েছিল।


শুভেন্দু অধিকারীকে কেন নেতাই যেতে দেওয়া হল না? কারণ জানতে চেয়ে লিখিত রিপোর্ট সহ মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। ১০ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ দুই আধিকারিককে হাজির হতে নির্দেশ। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া।