কৌশিক গাঁতাইত, পশ্চিম বর্ধমান : ফের কোভিড বিধি অমান্যের অভিযোগ উঠল দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।  আজ সকালে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে বড়তোড়িয়া গ্রামে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।


দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী।  কিন্তু দিলীপ ঘোষ যখন যাচ্ছেন, তখন ভিড় জমে যায়। কার্যত মিছিলের চেহারা নেয় সেই ভিড়। বিধি অমান্যর অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, তাঁরা ৫ জনই বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তায় মানুষ তাঁদের দেখে এগিয়ে আসেন।  পুলিশ দেখুক, কীভাবে দূরত্ববিধি বজায় রাখা যায়।

আরও পড়ুন :


আজই ৩০ হাজার করোনা পরীক্ষা ডায়মন্ডহারবারে, যুবদিবসে অভিষেকের ঘোষণা


মঙ্গলবারও বর্ধমানের আসানসোলে দিলীপ ঘোষের প্রচারকে ঘিরে গন্ডগোল হয়।  প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।  রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।  মঙ্গলবার সকালে আসানসোল পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার করছিলেন তিনি। সেই সময় রামনগরে তাঁর পথ আটকায় পুলিশ।  কোভিড বিধি অমান্য করে বেশি সংখ্যায় কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রচার করা যাবে না, একথাই বলা হয় পুলিশের তরফে। এ নিয়ে দু’পক্ষে শুরু হয়ে যায় বাদানুবাদ। একটি মন্দিরের সামনে বসে পড়েন দিলীপ। পরে আবার তিনি প্রচার শুরু করলে পুলিশ ফের বাধা দেয়। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কিও হয়। পরে সেই জায়গা থেকে চলে যান দিলীপ ঘোষ।  পুলিশ সূত্রে খবর, কোভিড বিধি অমান্য করে পাঁচের বেশি কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রচারে বেরোন দিলীপ ঘোষ। সেই কারণে আটকানো হয়।


এই প্রসঙ্গে মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেউ বিজেপির প্রচারে বাধা দিচ্ছে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিধি সব দলকেই মানতে হবে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেস ৮ দফা নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু তাঁরাও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া নিয়মেই ভোটের সময় আচরণ করেছেন।