কলকাতা: এবার কি এ রাজ্যকে টার্গেট করেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিরা? রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৫ জামাত জঙ্গির গ্রেফতার উসকে দিয়েছে এই প্রশ্ন। যদিও কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দাবি, এ রাজ্য নয়, জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল উত্তর পূর্ব  ও দক্ষিণ ভারত।


কিন্তু কীভাবে পুলিশের জালে ধরা পড়ল পাঁচ জামাত জঙ্গি? দিনকয়েক আগে জাল নোটকাণ্ডে অসমের কাছাড় থেকে জাবিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ধৃত জাবিরুলই জাহিদুল ইসলাম, খাগড়াগড়কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। তার কাছ থেকে মেলে খাগড়াগড়ের ঘটনার বেশ কিছু সূত্র। অসমের ধুবড়ি থেকে কলকাতা আসার পথে, রবিবার কোচবিহার স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয় আবুল কালাম ওরফে আব্দুল কালামকে। এরপর একে একে গ্রেফতার বাকিরা। বনগাঁর বাগদা রোড থেকে ধরা পড়ে আনোয়ার হুসেন ফারুখ ওরফে ইনাম। বাংলাদেশের জামালপুরের বাসিন্দা ইনাম এরাজ্যে জামাত উল মুজাহিদিনের প্রধান বলে পুলিশের দাবি। তার সঙ্গেই গ্রেফতার হয় জামালপুরের আরেক বাসিন্দা রুবেল ওরফে রফিক। আইইডি বিশেষজ্ঞ রুবেল ও ইনাম সীমান্ত টপকে এ রাজ্যে ঢুকেছিল। বসিরহাটের রেজিস্ট্রি বাজার মোড় থেকে এরপর গ্রেফতার হয় মৌলানা ইউসুফ ওরফে ইউসুফ শেখ। শিমুলিয়া মাদ্রাসার প্রধান ইউসুফ এরাজ্যে জেএমবির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। তার নেতৃত্বে শিমুলিয়া মাদ্রাসায় মগজ ধোলাইয়ের পাশাপাশি দেওয়া হত অস্ত্র প্রশিক্ষণ। খাগড়াগড়কাণ্ডের পর থেকেই ফেরার ছিল বর্ধমানের মঙ্গলকোটের বাসিন্দা ইউসুফ। তার সঙ্গেই গ্রেফতার হয় শাহিদুল ইসলাম ওরফে সূর্য। শাহিদুল অসমের বরপেটার বাসিন্দা এবং উত্তর পূর্ব ভারতে জেএমবির প্রধান।