অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার নাম করে ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন কলকাতা থেকে ধৃত দু’জনকে ঝাড়গ্রামের আদালতে তোলা হয়। শুভাশিস পতি ও নিতু রায় নামে এই দুই অভিযুক্তকে গতকাল ঝাড়গ্রাম পুলিশের আধিকারিকরা কলকাতা পুলিশের সহযোগিতায় কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই পুরুষ ও মহিলার কাছ থেকে দু’টি ল্যাপটপ, বেশ কয়েকটি ফোন এবং বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।


এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা অর্ণব ঘোষ দাস গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝাড়গ্রাম সাইবার ক্রাইম বিভাগে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। ধৃত দুই ব্যক্তি তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে দাবি দায়ের করেন অর্ণব। তাঁর এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে অর্ণবের বাবা করোনা আক্রান্ত হন। সেই সময় অভিযুক্ত নিজেকে শুভাশিস অগ্রবাল পরিচয় দিয়ে ফোন করেছিল বলে জানিয়েছেন অর্ণব। সেই সময় অর্ণবের মা ফোন ধরলে তাঁকে শুভাশিস বলে, ছেলেকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দিতে পারবে সে। পরে ঝাড়গ্রামে অর্ণবের বাড়িতেও শুভাশিস একবার যায়। অর্ণবকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ১২ লক্ষ টাকা জন্য লাগবে বলে জানায় সে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির আশায় অর্ণবের পরিবার সেই টাকা দিতে রাজি হয়ে যায়। এরপর অনলাইনে সেই টাকা অর্ণবের পরিবার দেয় শুভাশিসকে। টাকা পাওয়ার পর একদিন অর্ণবকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে যেতে বলে শুভাশিস। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর সারাদিন অপেক্ষা করার পরেও কারও দেখা পায়নি অর্ণব। তারপর থেকে শুভাশিসের ফোনও বন্ধ হয়ে যায়। তখনই তাঁরা বুঝতে পারেন, শুভাশিস নামে ওই ব্যক্তি তাঁদের প্রতারিত করেছে।


এই ঘটনার পরই সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন অর্ণব। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ১২ লক্ষ টাকাই নয়, ওই পরিবারের কাছে আরও ৬০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। এদের সঙ্গে বড় কোনও চক্র রয়েছে  কি না, সেটা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।