কলকাতা: জয়েন্টে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেধাতালিকায় দিল্লি বোর্ডের দাপট। পিছিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়ারা। প্রথম দশের মধ্যে পাঁচজনই কলকাতার। প্রথম হয়েছে রাজারহাটের ডিপিস মেগাসিটির যশবর্ধন দিদওয়ানিয়া। দ্বিতীয় কল্যাণীর সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের অভিষেক দত্ত। তৃতীয় দুর্গাপুরের বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের অর্পণ কোনার।

দশে পাঁচ কলকাতা। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম দশজনের মধ্যে পাঁচজনই শহরের।

উচ্চমাধ্যমিককে পিছনে ফেলে দাপট দেখাল দিল্লি বোর্ডও। মেধাতালিকায় প্রথম দশে থাকা পড়ুয়াদের মধ্যে ৯ জনই দিল্লি বোর্ডের। মাত্র একজন পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের। এর মধ্যে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম যশবর্ধন দিদওয়ানিয়াও। যশবর্ধন রাজারহাট ডিপিএস মেগাসিটির ছাত্র।

হিন্দি সিনেমার অন্ধ ভক্ত যশবর্ধন আশা করেছিল, প্রথম কুড়ির মধ্যে তার নাম থাকবে। কিন্তু, রুপোলি পর্দার মতো ক্লাইম্যাক্সে যে এরকম রোমাঞ্চকর কিছু অপেক্ষা করছে, সেটা ভাবতে পারেনি সে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ফার্স্ট হলেও, যশবর্ধনের লক্ষ্য আইআইটি।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কল্যাণীর সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের অভিষেক দত্ত।

কোনওদিনই সেভাবে ঘড়ি ধরে পড়াশোনা করেনি। তবে যেটুকু করেছে, সেটা গভীর মনোযোগ দিয়ে। মার্কশিটেও তার ছাপ পড়েছে।

নজর কেড়েছে দুর্গাপুর। তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানেই রয়েছে সেখানকারই দু’টি স্কুলের পড়ুয়া। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় হয়েছে দুর্গাপুরের বিধানচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের অর্পণ কোনার। চতুর্থ স্থানে হেমশিলা মডেল স্কুলের শৌনক নাথ। পঞ্চম স্থানে এই স্কুলেরই আরেক ছাত্র সমন্বয় সাধু।

ষষ্ঠ স্থানে বালিগঞ্জের সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র তমোঘ্ন ঘোষ। সপ্তম স্থানে ধানবাদের ডিএভি পাবলিক স্কুলের সুজয় ঘোষ।

অষ্টম, নবম ও দশম তিন পড়ুয়াই আবার কলকাতার। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অষ্টম হয়েছে পার্ক সার্কাসের ডন বসকো স্কুলের অর্কদেব সেনগুপ্ত। নবম ক্যালকাটা বয়েজ স্কুলের আকাশ মণ্ডল।

দশম স্থানে রয়েছে বালিগঞ্জের সাউথ পয়েন্ট স্কুলেরই আরেক পড়ুয়া ঐশিক পাঁজা।

তবে ঐশিক ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তাঁর ইচ্ছে গবেষণা করে অধ্যাপনার পেশায় যাওয়া।

এবার জয়েন্টে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উত্তীর্ণের নিরিখেও কলকাতা শীর্ষে।

উত্তীর্ণ প্রথম ১০ হাজার জনের মধ্যে তিন হাজার একশো একান্ন জনই কলকাতার। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা ও তৃতীয় স্থানে হাওড়া।

আগামী বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার সম্ভাব্য দিন ২২ ও ২৩ এপ্রিল।