পরিচালন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন পেশ ঘিরে অশান্তি। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে ব্যারাকপুরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ঘণ্টাখানেক আটকে রাখা হল সাংবাদিকদের। খবর জোগাড় করতে যাওয়ার জন্য তাঁদের গ্রেফতার করানোর হুমকি পর্যন্ত দিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষ্ণকলি বসু। যিনি আবার তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার রাজ্য সভাপতিও।
রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পরিচালন সমিতির নির্বাচন সামনেই। শুক্রবার ছিল মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। কিন্তু, শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ,
শাসক দলের অনুগামী নন বলে তাঁদের মনোনয়ন পেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কয়েকজনের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
এই খবর সংগ্রহ করতেই কলেজে যান এবিপি আনন্দর সাংবাদিক সমীরণ পাল এবং আস্তিক চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমকে দেখে অভিযোগকারী শিক্ষকরা একে একে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন।
কিন্তু, এই খবর কানে যেতেই চটে যান সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষ্ণকলি বসু। তিনি সাংবাদিকদের ঘরে ডেকে পাঠান। সেখানেই তাঁদের প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে রাখা হয়। কৃষ্ণকলি বসু হুমকির সুরে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করতে থাকেন,
কেন তাঁরা কলেজে এসেছেন? কেন তাঁর অনুমতি ছাড়া শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন? এমনকী সাংবাদিকদের গ্রেফতার করানোর হুমকি পর্যন্ত দেন তিনি।
এরপরই ব্যারাকপুর থানায় ফোন করেন কৃষ্ণকলি। পুলিশ এলে তাঁদের বলেন,
এদের গ্রেফতার করতে হবে। এরা বিনা অনুমতিতে কলেজে ঢুকে পড়েছে।
শুনে পুলিশকর্মীরাও বলেন, সংবাদমাধ্যম তো তাদের কাজই করেছে!
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘরে কয়েকজন বহিরাগতও ঢুকে পড়েন। তাঁরাও হুমকি দিতে শুরু করেন। শেষমেশ, ঘণ্টাখানেক পরে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ঘর থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করে আনে পুলিশ।