বীরভূম: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পাশে বিচারক। ধর্ষণের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রেখে পাঠালেন পরীক্ষা দিতে। শুক্রবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল সিউড়ি আদালত।
২০১৫ সালে এক নাবালিকার সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তার জেরে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনায় ধর্ষণের মামলা রুজু করে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগকারিণী সেই নাবালিকা এবার মাধ্যমিক দিচ্ছে।
শুক্রবার তার পরীক্ষা ছিল। কিন্তু, এদিনই আবার ধর্ষণের মামলায় সিউড়ি আদালতে সেকেন্ড অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ দীপ্তেন্দ্রনাথ মিত্রর এজলাসে তার সাক্ষ্যদানের তারিখ পড়ে। সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন সরকারি আইনজীবীই বিচারকের কাছে উল্লেখ করেন, অভিযোগকারিণীকে মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়ে আদালতে আসতে হয়েছে।
শুনে একটুও দেরি না করে বিচারক সরকারি আইনজীবীকে বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণ অন্যদিন হবে। এখনই সিউড়ি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই ছাত্রীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
সেই সঙ্গে বিচারক এই নির্দেশও দেন, পৌঁছতে দেরি হলেও যেন এই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়। এরপরই সিউড়ি থানা থেকে পুলিশের গাড়ি চলে আসে আদালত চত্বরে। তাতে চড়েই রামপুরহাটে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছোয় ওই ছাত্রী।
একটু দেরি হলেও, আদালতের নির্দেশ দেখিয়েই পরীক্ষায় বসে সে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা যে মিস হয়নি, সেজন্য বারবার বিচারককেই ধন্যবাদ দিচ্ছে সে।