ভোপাল: পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সংকীর্ণ মানসিকতা’। এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।


পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা জানান, বড় রাজ্য ভেঙে ছোট রাজ্য গঠনের সমর্থন করে তাঁর দল। তবে, এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত মানুষের সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র বের করা।


বিজয়বর্গীয় মনে করিয়ে দেন, এটা (পৃথক রাজ্য গঠন) রাজ্যের অধিকার। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করার পরই কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারে। বিজয়বর্গীয়র মতে, গোর্খাল্যান্ডের ক্ষেত্রে তার ভৌগলিক অবস্থানই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে।


পাহাড় বিতর্কে রাজ্য সরকারের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন কৈলাশ। বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসা উচিত। প্রথমে একটি আঞ্চলিক পরিষদ তৈরি করা হল। অথচ, তাদের ক্ষমতা দেওয়া হল না। বিজেপি নেতার মতে, আন্দোলনকারীদের ওপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।


গোর্খাল্যান্ড-ইস্যুতে পাহাড়ের উত্তপ্ত পরিবেশের জন্যও এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন কৈলাশ। তাঁর অভিযোগ, যা ঘটেছে, পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আর এর জন্য মমতাজির সংকীর্ণ মানসিকতা দায়ী। বলেন, তিনি (মমতা) বাঙালি ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে গোর্খাদের দমিয়ে রাখতে চাইছেন। যারা গণতান্ত্রিক উপায়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলছেন, তাদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন।


শুধু মমতা নন, এদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন কৈলাশ। বলেন, পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যও সমান দায়ী। তিনি আচমকা, রাজ্যজুড়ে সব স্কুলে বাংলাকে আবশ্যিক করলেন।


বিজেপি নেতা বলেন, এই ইস্যুতে রাজ্য প্রশাসন সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। যার জন্যই পরিস্থিতি ঠিকভাবে সামলাতে পারেনি। তাঁর অভিযোগ, নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে দায়ী করে। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ।


শুধু গোর্খাল্যান্ড ইস্যুই নয়, এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়েও মমতা প্রশাসনের সমালোচনা করেন। বলেন, ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্য অনুপ্রবেশকারীদের এখানকার নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।


এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের করা মন্তব্যকে সমর্থন করেন কৈলাশ। বলেন, মহিলারা এখানে যে নিরাপদ নয়, তা একেবারে সঠিক। এখানে মহিলাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের মতো ব্যবহার করা হয়। তাঁর আরও দাবি, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এখানে যারা ১৫ দিন কাটাবেন, পুরোটা বুঝে যাবেন।