কালনা (বর্ধমান): কালনা ফেরি ঘাট থেকে শান্তিপুর ফেরার সময় নৌকাডুবি। যা ঘিরে উত্তেজনা, সংঘর্ষ। কিন্তু, কেন ঘটল এই দুর্ঘটনা? কারণ খুঁজতে গিয়ে ফের হদিশ সেই ভাইরাসের! যার নাম ‘তোলাবাজি’।
ভবা পাগলার অনুষ্ঠান ঘিরে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল কালনার ফেরিঘাট চত্বরে। এলাকাবাসীর দাবি, রাতে হঠাৎ ফেরিঘাটের ভাড়া আদায় নিয়ে দু’টি দলের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। যার জেরে ৩ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে নদী পারাপার। যার জেরে ভিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে কালনা ফেরি ঘাটে।
কিন্তু, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ফেরি পরিষেবা চালু ছিল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! অভিযোগ, রাত বাড়লেই যাত্রীদের থেকে মোটা টাকা ভাড়া আদায় করে চালু রাখা হয় ফেরি পরিষেবা! সেই টাকা মূলত ভাগভাগি হয় তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে! শনিবার রাতেও এই একইভাবে মোটা টাকার বিনিময়ে একসঙ্গে এত যাত্রীকে নৌকায় উঠতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও, এই অভিযোগ মানতে নারাজ শাসক দল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ফেরিঘাটের লিজ কে পাবে, তা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন ঘাটেই চলে টানাপোড়েন, রেষারেষি! এখন যা মূলত শাসক দলের অন্দরের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে! যিনি বা যাঁরা লিজ পান, তাঁদের কপাল খুলে যায়, আর যাঁরা পান না, অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা বেশি রাতে ফেরি চালিয়ে তোলা আদায় করেন বলে অভিযোগ। যার মর্মান্তিক পরিণতি হল কালনায়।

‪আরও পড়ুন:

কালনা নৌকাডুবি: এক ঝলকে উদ্বেগের প্রহর

নৌকাডুবি:উদ্ধারকাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাস-রাবার বুলেট

কালনা থেকে শান্তিপুর যাওয়ার পথে গঙ্গায় নৌকাডুবি, নিখোঁজ বহু, রয়েছে শিশুও