সমীরণ পাল, নদীয়া: নৈহাটিতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধারে  মদের দোকানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সেই দুষ্কৃতীদের দলে মোট ৭-৮ জন ছিল বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা গিয়েছে, সেই এলাকায় এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মুখে কালো কাপড় বেঁধে ৭-৮ জন দুষ্কৃতী আচমকা আসেন। এরপরই একটি মদের দোকানে ভাঙচুর চালায় তাঁরা। সেই দোকানের সামনে ছিল একটি বাইক। দুষ্কৃতীরা বাইকটিও ভাঙচুর করে। এরপরই সেই দুষ্কৃতীরা মদের দোকান থেকে বেশ কিছু মদের বোতল নিয়ে পালাতে যায়। সেই সময়ই বেশ কয়েকজন দোকানের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকজন কর্মী আহতও হন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।


এর আগে গত কয়েকদিন আগে বেআইনি মদের ঠেকে বচসাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল হুগলির চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকা। বোমাবাজি, পরপর দোকানে আগুন, ভাঙচুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, ছোড়া হয় বোতলও। তাণ্ডবে আহত ৪ পুলিশকর্মী সহ ১০। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। আপাতত কয়েকটি বাজার বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। বসানো হয়েছিল পিকেট। আটক করা হয়েছিল ৮ জনকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মদের ঠেকের গন্ডগোল নেমে আসে রাস্তায়। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। মুহূর্মুহূ বোমাবাজির জেরে পরপর ৫টি দোকানে আগুন লেগে যায়। একটি রেস্তোরাঁ-সহ ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকান। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ও দমকল। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় কাচের বোতল। যার জেরে আহত হন চারজন পুলিশকর্মী সহ মোট দশজন। যারপরেই র‍্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। 


এছাড়া কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ায় মদের দোকান খোলার প্রতিবাদে স্থানীয়দের বিক্ষোভ, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযোগ সরকারি নিয়ম না মেনে অনেক রাত পর্যন্ত ওই দোকান থেকে মদ বিক্রি হয়। এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগে মহিলারা লাঠি- ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ভাঙচুর করা হয় মদের দোকান।