কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: নিম্নচাপের অবিরাম বৃষ্টির জেরে মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। পূর্ব বর্ধমানে সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি। কয়েকদিনের বৃষ্টি ও দামোদরের জল ক্যানেলে ঢুকে ক্ষতি হয়েছে সবজি ও ধান চাষে। বিঘার পর বিঘা আমন ধানের জমি জলমগ্ন। হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে ডিভিসির ক্যানেলের জল উপচে প্লাবিত হচ্ছে। আর তাতে ক্ষতি হচ্ছে সবজি চাষে।
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডকোষে আড়াডাঙ্গা এলাকায় কয়েকশো বিঘে জমিতে মূলত লঙ্কা চাষ হয়। এছাড়াও একাধিক সবজি চাষ হয়। খণ্ডকোষে আড়াডাঙার বাসিন্দা শেখ জসিমউদ্দিন জানান, নিজের দেড় বিঘা জমিতে লঙ্কা চাষ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে লঙ্কা গাছের গোড়ায় যেমন জল ঢুকে গেছে, তেমনি পটলের মাচা চলে গেছে জলের তলায়। এদিকে ক্যানেল ও বৃষ্টির জলে চারিদিকের মাঠও পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পাম্প করেও জল বের করা যাচ্ছে না। জলের তলাতেই বিঘের পর বিঘে জমিতে লঙ্কা নষ্ট হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিত সরকারের সাহায্য চাইছেন তাঁরা।
আবেদন করেও সুরাহা না মেলার অভিযোগ, সাঁকো তৈরির উদ্যোগ ইটাহারের ২৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের
অন্যদিকে হেক্টরের পর হেক্টর আমন ধানের জমি জলের তলায় চলে গেছে। এমনিতেই বৃষ্টির অভাবে একাংশে কিছুটা হলেও চাষ দেরিতে শুরু হয়েছে। ধান গাছ লাগানোর পর অতিবৃষ্টিতে জমির একাংশে ধান জলের তলায় চলে যাওয়ায় সার্বিক ফলনে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। ধান চাষীদের দাবি, বাঁকা নদীর জল উপচে বিঘের পর বিঘে জমি প্লাবিত হয়েছে। যেহেতু সবে ধান গাছ লাগানো হয়েছিল, সেহেতু ৩-৪ দিন গাছ জলে ডুবে থাকায় সেগুলি নষ্ট হয়ে যাবে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়ঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, জেলায় প্রায় ১০২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৩৫০ হেক্টর সবজি চাষের জমিও রয়েছে। বাকি সব জমিই আমন ধানের বলে তিনি জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে এখন বিপুল ক্ষতির মুখে মাথায় হাত কৃষকদের।