ব্যান্ডেল:  ব্যান্ডেলে বাড়ির মধ্যেই খুন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা। গলায় ছুরি ও মাথায় নোড়ার আঘাত। তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অবসরের পর বাড়িই ছিল তাঁর কাছে সব কিছু। নেশা ছিল পুরনো দুর্মূল্য জিনিস সংগ্রহ করা। সেই সূত্রে যুক্ত ছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার সঙ্গে।

এ হেন এক মহিলাই বাড়ির মধ্যে রহস্যজনকভাবে খুন হয়ে গেলেন! সুলেখা মুখোপাধ্যায়, ৭০ বছরের এই মহিলা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের প্রাক্তন অধ্যাপিকা ছিলেন।  ব্যান্ডেলের নিউ কাজিডাঙার বাড়িতে একাই থাকতেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া পাননি পরিচারিকা। সন্দেহ হওয়ায় জানলা দিকে উঁকি মারেন তিনি। পরিচারিকার দাবি, তিনি দেখেন, ঘরের মেঝেয় পড়ে রয়েছে গৃহকর্তীর রক্তাক্ত দেহ!

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। তারা দেখতে পায়, প্রাক্তন অধ্যাপিকার গলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন! মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের দাগ ছিল! তখনও ঘরে টিভি চলছিল!

তদন্তকারীদের অনুমান,  ছুরি দিয়ে গলা কাটার পর, মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় শিল ও নোড়া দিয়ে উপুর্যুপুরী আঘাত করে আততায়ীরা!

পারিপ্বার্শিক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে পুলিশ মনে করছে, আততায়ীরা সংখ্যায় একাধিক ছিল।

দলে পরিচিত কেউ থাকায়, সামনের দরজা দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে অসুবিধা হয়নি। তবে ছাদের দরজা খোলা থাকায়, সেখান দিয়ে খুনিদের ঢোকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা!

পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, লুঠের উদ্দেশেই এই খুন। কারণ, প্রাক্তন অধ্যাপিকার ঘরের দুটি আলমারি লণ্ডভণ্ড অবস্থায় ছিল।

পুলিশ জানতে পেরেছে, সুলেখা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে কয়েকদিন ধরে একজন রাজমিস্ত্রি কাজ করছিলেন। তাঁর ভুমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিচারিকাকেও। কিন্তু কিসের জন্য খুন? কোনও দুর্মূল্য অ্যান্টিকসের লোভে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।