মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বর্ষায় ভেসে গিয়েছে অস্থায়ী সেতু। বন্ধ নৌকো চলাচল। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়েই গলা জলা পেরিয়ে কাঁকসার শিবপুরে চলছে অজয় নদ পারাপার। নদী পার হতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে স্থায়ী সেতু চালু হোক। আপাতত নজরদারি চালিয়ে এভাবে পারাপার বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।


জল কারও গলা ছুঁয়েছে, কারও আবার বুক...কাঁধে বাচ্চা, মাথায় সাইকেল নিয়েই চলছে নদী পারাপার।এ ছবি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার শিবপুরের অজয় নদের।


স্থানীয়সূত্রে খবর,বর্ষায় নদী পারাপারের অস্থায়ী রাস্তা ভেসে গিয়েছে মাস খানেক আগে। গত তিন দিন বৃষ্টি না হওয়ায়, জলস্তর নেমে যাওয়ায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে নৌকোও।উপায় না থাকায়, গলা জলে হাবডুবু খেতে খেতেই চলছে নদী পারাপার। বাড়ছে বিপদ।


কাঁকসার বাসিন্দা পারুল বাগদি বলেছেন, একগলা জলে পার হতে হচ্ছে। ঝুঁকি তো রয়েইছে। কিন্তু রাস্তা দিয়ে যেতে ঘুরপথ। অনেক ভাড়া। তাই উপায় না থাকাই এভাবেই যাতায়াত করতে হচ্ছে।


অজয়ের একপাড়ে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা, অন্য পাড়ে বীরভূমের জয়দেব।দুই জেলার হাজার হাজার বাসিন্দা অজয়ের ওপর অস্থায়ী রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন।


নদীর ওপরই হচ্ছে পাকা সেতু। তবে সেই কাজ এখনও অসম্পূর্ণ। স্থানীয় এক বাসিন্দা তরুণ পাত্র বলেছেন,  পাকা সেতু দু-তিন বছর ধরে হচ্ছে। সেই কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হোক,  এমনটাই চাই। এভাবে যাতায়াতে দুর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু উপায় কী আছে!


এই পরিস্থিতিতে বিপদ এড়াতে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।


বিদবিহার পঞ্চায়েতের সদস্য গিরিধারী সিংহ বলেছেন,  আসলে জলস্তরে নেমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। নৌকো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এভাবে নদী পার হওয়া উচিত নয়। পঞ্চায়েতের তরফে নজরদারি চালাব। যাতে কেউ এভাবে পারাপার না করে।


কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, প্রশাসন নজরদারি চালাবে। আগামী বছরের মধ্যে পাকা ব্রিজ হয়ে গেলে আর সমস্যা থাকবে না।


গ্রামবাসীদের দাবি, দু'দিন আগেই নদী পার হতে গিয়ে ভেসে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। কোনওভাবে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।বড় বিপদ ঘটার আগে, এই সমস্যার সমাধান হবে তো, প্রশ্ন এখন সেটাই।