প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পর এবার কসবা থানা। ফের পোশাক-ফতোয়া নিয়ে বিতর্ক। টি-শার্ট, হাফ প্যান্ট পরে থানায় যাওয়ায় দুই যুবককে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল কসবা থানার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারীর দাবি, গত শনিবার বাড়ি সংলগ্ন মন্দিরে চুরি হওয়ায় থানায় অভিযোগ জানাতে যান। অভিযোগ, টি-শার্ট, হাফ প্যান্ট পরে যাওয়ায় তিনি ও তাঁর সঙ্গীকে থানার গেটেই আটকে দেওয়া হয়। পরে পোশাক বদলে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারীর দাবি, থানায় পোশাক-বিধি রয়েছে কিনা কলকাতা পুলিশের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জানতে চাইলে, অভিযোগকারী অফিসে কী পরে যান, এনিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি রশিদ মুনির খান জানিয়েছেন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলতি মাসেই পোশাক ফতোয়া জারি করে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা। যা নিয়ে তৈরি বিতর্ক। পুরসভার বাইরে একটি নোটিস টাঙানো হয়। পুরসভার রাজপুর দফতরে নোটিস দেওয়া হয়েছে, অশোভন বা দৃষ্টিকটূ পোশাক পরে পুরসভায় প্রবেশ করা যাবে না। নোটিসের নীচে কোনও আধিকারিকের সই নেই। যদিও এই নোটিস প্রসঙ্গে পুর প্রশাসকের দাবি, পুরসভার তরফেই ওই নোটিস দেওয়া হয়েছে। পুর প্রশাসকের দাবি, অনেকেই কাজের জন্য আসেন পুরসভায়। তাঁদের নানারকম পোশাক। কিছুদিন আগে পোশাক নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদও হয় পুর কর্মীদের। তার জেরেই এই নোটিস।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার রাজপুর কার্যালয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু মানুষ বার্মুন্ডা, হাফপ্যান্ট পরে কার্যালয়ে আসছেন বিভিন্ন রকম নাগরিক পরিষেবা নিতে। সেই অবস্থাতেই অনেকে চেয়ারে বসে পায়ের ওপর পা তুলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন। তাতে শুধু পুর কর্মীদের নয়, পরিষেবা নিতে আসা অন্যান্য মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের অস্বস্তি বাড়ছে। সেকারণেই এই ফতোয়া। হ্যাফপ্যান্ট বা বার্মুন্ডা পরে আসা নাগারিকদের ফেরত পাঠান গেটের দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা।