প্রকাশ সিনহা, বিরাটি: বিরাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় গ্রেফতার করা হয় স্থানীয় দুষ্কৃতী বাবুলাল-ঘনিষ্ঠ ওই যুবককে। তার কাছ থেকে আরও কোনও সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। একুশে জুলাইয়ের রাতে বিরাটির বণিক মোড়ে পার্টি অফিসের সামনে খুন হন তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, যেভাবে, ১ মিনিটে ৫টা গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে, তা কোনও শার্প শ্যুটারের কাজ।


তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণের রাতেই, উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে শ্যুটআউটে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী। দুটি বাইকে ৪জন এসে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি চালায়। ১মিনিটে ৫টা গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্তের শরীর। কপালের মাঝখানে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে বুকের দু’দিকে গুলি লাগে। তৃণমূলের অভিযোগ, খুনের ঘটনায় বিজেপির হাত রয়েছে।


আর নিজেদের দাবির স্বপক্ষে একাধিক ছবিও হাজির করেছে তারা। ছবিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহয়ের সঙ্গে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম বাবুলাল। তৃণমূলের দাবি, বাবুলাল বিধানসভা ভোটের আগে, অর্জুন সিংহের হাত ধরে, বিজেপিতে যোগ দেন। শাসক শিবিরের অভিযোগ, বুধবার সকালে, বিরাটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল অফিসের কাছেই অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করেন বাবুলাল। তাঁর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, মহারাজ নামে আরেক তৃণমূল নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। সংঘর্ষে জখম হন, বাবুলাল। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই রোষেই, রাতে, মহারাজের গোষ্ঠীর সদস্য বলে পরিচিত, তৃণমূল কর্মী, শুভ্রজিৎ দত্তের ওপর হামলা চালায় বাবুলালের অনুগামীরা।


উত্তর দমদমের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দাবি, বাবুলালই করেছে। ওঁর সঙ্গে অর্জুন সিংহের ছবি আছে। একই অভিযোগ দমদম উত্তরের বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। এ নিয়ে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ জানিয়েছেন, অনেকেই ছবি তুলতে আসে। সম্ভবত, তৃণমূলে থাকাকালীন ছবি তুলতে এসেছিল। আমি চিনতে পারছি না।