তারাপীঠ : ভাদ্র মাসের বিশেষ তিথিতে পালিত হয় কৌশিকী অমাবস্যা। শাস্ত্র মতে তন্ত্রসাধনার জন্য এই দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এইদিন তারাপীঠে সারারাত ধরে চলে নিশিপূজো। সেই প্রথা মেনেই এই বছরও কৌশিকী অমাবস্যার প্রথম রাতেই তারাপীঠে গর্ভগৃহে রাতভর করা হল নিশিপুজো। তারা মায়ের সামনে করা হল বিশেষ আরতি। ধূপ-পঞ্চপ্রদীপ-কর্পূরে আরতি করা হয় মা তারার। এদিন আরতি করা হয় দেবীর রাজ-রাজেশ্বরী মূর্তিকে। সাধারণ ভক্ত ছাড়াও মন্দিরে যজ্ঞ করার জন্য বহু তান্ত্রিক ও সাধুর সমাগম হয় কৌশিকী অমাবস্যায়। নিশিপূজার কারণে এই দিনটি তারা রাত্রি বলেও পরিচিত।


এদিন সকাল থেকেই প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয়েছিল মন্দির চত্ত্বরে। সারাদিন ধরেই আয়োজন ছিল বিশেষ পুজোর। বহু দুর-দুরান্ত থেকে মানুষ পূজো দিতে আসেন। দেবীকে নিবেদন করা হয় কাঠের জ্বালে রান্না করা বিশেষ ভোগ। এদিন মন্দির চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ছিল ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থাও।

তবে কেবল তারাপীঠে নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানেই এইদিন বিভিন্ন রূপে পূজিত হন মা তারা। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরেও এইদিন বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। ভক্তদের সমাগমে তিল ধারণের জায়গা থাকে না এখানেও।