তিন মাস আগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের চার মাসের ফুটফুটে সন্তানের। বৃহস্পতিবার চারু মার্কেটের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল দম্পতির মৃতদেহ। ডিপ্রেশনেই কি নিজেদের শেষ করে দিলেন দম্পতি? নাকি বন্ধ ঘরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য রহস্য?
চারু মার্কেট থানা এলাকার ফ্ল্যাটে থাকতেন ৩২ বছরের অরিজিৎ দত্ত ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাউকেই ফোনে পাচ্ছিলেন না বাড়ির লোকেরা। কিছুক্ষণ পর উদ্ধার হয় দু’জনের মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুপর্ণার দেহটি ছিল ঝুলন্ত অবস্থায়। আর অরিজিতের মৃতদেহ গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে আত্মহত্যা করেন অরিজিৎ। তাঁর মৃতদেহ মাটিতে নামিয়ে আনার পর আত্মঘাতী হন সুপর্ণা। ঘর থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।
কিন্তু, এই ঘটনার কারণ কী? পরিবারের কারও অনুমান, সন্তান হারানোর শোকেই আত্মঘাতী হয়েছে দম্পতি। অরিজিতের মা আবার বলেছেন, টাকা পয়সা ছিল না। ইএমআই দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। চারু মার্কেট থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখাও তদন্তে নেমেছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দু’টি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য রহস্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।