সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর: করোনা আবহেই আজ মহালয়া। একইসঙ্গে আজই আবার বিশ্বকর্মা পুজোও। এবার অবশ্য মহালয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পরে দুর্গাপুজো। তবে করোনা-সতর্কতা বজায় রেখেই উৎসব পালন করতে তৈরি বাঙালি। অপেক্ষা আর একটি মাসের।


পুজোর কেনাকাটা এবার এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। ধীরে ধীরে দোকান, শপিং মলগুলিতে বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। এই আবহেই এবার শাড়িতেও করোনার ছোঁয়া! শ্রীরামপুরের একটি বুটিক করোনার ডিজাইনে শাড়ি তৈরী করেছে। আর সেই শাড়িতে কোভিড যোদ্ধাদের জন্য পাঁচ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। করোনা সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সংক্রমণ এড়াতে একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে শাড়ির মাধ্যমে। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নয়, বরং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার বার্তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে।

কিছুদিন আগে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটি টি-শার্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেই টি-শার্টে লেখা ছিল ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’। এবার পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যে কেউ বলতেই পারেন এই কথা। কারণ, পুজো এলেও, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর করোনা পুরোপুরি দূর না হওয়া নিশ্চিন্ত হওয়ার উপায় নেই।

শ্রীরামপুরের এই বুটিকের কর্ণধার জানিয়েছেন, একমাত্র তাঁরাই করোনা শাড়ি তৈরী করেছেন। অন্য কোনও দোকানে এই ডিজাইনের শাড়ি পাওয়া যাবে না। পুজোর এখনও এক মাস বাকি থাকলেও, ইতিমধ্যেই শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ভালই। বিপনীর ম্যানিকিনের গায়ে জড়ানো করোনা শাড়ি দেখে অনেক ক্রেতাই আসছেন। করোনা শাড়ি পরে নিজেদের কেমন লাগছে, ট্রায়াল দিয়ে দেখেও নিচ্ছেন কেউ কেউ। পুজো এবার কতটা জমবে তা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, বেশিরভাগ জামা-কাপড়ের দোকানই এখনও মাছি তাড়াচ্ছে। তবে করোনা কালে পুজোয় করোনা শাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলেই আশা এই বুটিকের কর্ণধারের।