সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে আমফান দুর্নীতি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন মামলাকারী। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বতপ্রণোদিতভাবে মামলাটি গ্রহণ করল হাইকোর্ট। গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের। পরবর্তী শুনানি ২২ নভেম্বর।
কলকাতা হাইকোর্টে আমফান দুর্নীতি মামলায় নতুন মোড়। মামলাকারী সরে দাঁড়ানোয় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ আদালতের। গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না, মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের।
গতবছর আমফানের পরই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ঘোরারস কুলীন গ্রামে পাঁচ ট্রাক ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পাঠায় রাজ্য সরকার।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, ওই ত্রাণ সামগ্রী পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বাড়ির গোডাউনে মজুত করা ছিল। সম্প্রতি মালতিপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে মোট ৫ ট্রাক বোঝাই ত্রাণ সামগ্রী উদ্ধার হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ত্রাণ পাচারের ঘটনায় মাটিয়া থানা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করলেও, তাতে উপযুক্ত ধারা যুক্ত করা হয়নি। প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
কিন্তু এদিন মামলাকারীরা সেই মামলা তুলে নেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, মামলাকারী সরে দাঁড়াতেই পারেন। কিন্তু এই ধরনের গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।
এরপরই মামলাটি স্বতপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে এই মামলায় এদিনই আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, তাতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে যে উপযুক্ত ব্যক্তিরাই ত্রাণ পেয়েছেন। যে ট্রাক গ্রামবাসীরা আটক করেন, তারমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী ছিল না।
যদিও পুলিশের এই রিপোর্টকে আইওয়াশ বলে মন্তব্য করে আদালত জানায়, তদন্ত বিপথে চালিত হচ্ছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ নভেম্বর।
আরও পড়ুন: আমফান দুর্নীতি মামলায় ধাক্কা রাজ্যের, তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করল না হাইকোর্ট
আরও পড়ুন: আমফান দুর্নীতি মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য, ক্যাগকে দিয়ে তদন্তের রায়ই বহাল হাইকোর্টে