সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: ট্রেকিং করাই ছিল দু’জনের নেশা। আর সেই ট্রেকিং-ই কাড়ল প্রাণ। হিমাচল প্রদেশে ট্রেকিং করতে গিয়ে মৃত্যু হল দুই বাঙালির।
মৃতরা হলেন উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়ার যতীন দাস নগরের বাসিন্দা বারুইপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সন্দীপ কুমার ঠাকুরতা এবং ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী মিডল রোডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী ভাস্করদেব মুখোপাধ্যায়।
মৃতদের পরিবার জানিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর ট্রেকিংয়ের জন্য একটি দলের সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে রওনা দেন দু’জনে। মানালি থেকে বাতাল হয়ে থেমেঙ্গার দিকে ট্রেক করতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
পরিবারের অনুমান, অত উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবে অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে দু’জনের। সোমবার সকালে মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারে।
এই পরিস্থিতিতে মৃতদেহ দ্রুত বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে মৃতদের পরিবার। আগামী ৩ অক্টোবরই ট্রেকিং সেরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল দু’জনের। কিন্তু তাঁর পাঁচদিন আগে বাড়িতে এল তাঁদের মৃত্যু সংবাদ।
এর আগে, ২০১৮ সালে প্রশিক্ষণ ছাড়াই ট্রেকিং করতে গিয়ে ঝরে যায় হাওড়ার এক যুবকের প্রাণ। সিকিমের ফালুটে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বাগনানের আন্টিলার বাসিন্দা সাতাশ বছরের সৈকত সামন্তের।
১০ জনের একটি ট্রেকিং দলে ছিলেন সৈকত। ২০ ডিসেম্বর পদাতিক এক্সপ্রেসে চড়ে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। সেখান থেকে ২১ তারিখ সিকিম যাত্রা শুরু হয়।
২৪ ডিসেম্বর ফালুট থেকে নামার পথে গোরখে ও ভারেং-এর মাঝে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন সৈকত। ঘোড়ার পিঠে চেপে নামার সময় মৃত্যু হয় যুবকের।
পরিবার জানায়, ট্রেকিংয়ে গেলেও কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না সৈকতের। তারওপর কনকনে ঠান্ডা। এমনকি সঙ্গে অক্সিজেনের সিলিন্ডার না থাকায় আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে বাগনানের যুবক। পরে সব শেষ।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে অফবিট ডেস্টিনেশন, বেড়িয়ে আসুন তিনচুলে-তাকদা-লামাহাট্টা
আরও পড়ুন: শিব-পার্বতীর বিবাহস্থল, উত্তরাখণ্ডের এই মন্দির পর্যটকদের নতুন হট ফেভারিট