কলকাতা: আমফান দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে  রাজ্য সরকারের  তদন্ত। রাজ্যের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করল না আদালত। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল মন্তব্য করেন, ‘এসব রিপোর্ট শুধুমাত্র আইওয়াশ করার জন্য দেওয়া হয়েছে’।  তিনি প্রশ্ন করেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ?’ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


আমফানের ত্রাণ সামগ্রী পাচারের অভিযোগে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগে আমফানের ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কতদূর এগোল তা জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এনিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সওয়াল-জবাবের সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, সরকারি আইনজীবীর কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, আমফানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটে কীভাবে?  এরপরই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত।


Rajya Sabha bypolls:রাজ্য়সভা আসনের ভোটে প্রার্থী দিচ্ছে না বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীকে হারানো লক্ষ্য, বললেন শুভেন্দু


গত বছর আমফানের পরই বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের ঘোরারস কুলীন গ্রামে পাঁচ ট্রাক ভর্তি ত্রাণ সামগ্রী পাঠায় রাজ্য সরকার। গ্রামবাসীরা দাবি করেন,ওই ত্রাণ সামগ্রী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাম্বিল হোসেনের বাড়ির গোডাউনে মজুত করা ছিল। সম্প্রতি মালতিপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ২ ট্রাক বোঝাই সামগ্রী উদ্ধার হয়।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ত্রাণ পাচারের ঘটনায় মাটিয়া থানা স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করলেও, উপযুক্ত ধারা যোগ করা হয়নি।


এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীদের একাংশ। সেই মামলার শুনানিতেই, দুর্যোগে দুর্নীতি হয় কীভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।


কিন্তু এদিনের শুনানিতে রাজ্যে সরকারের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করল না হাইকোর্ট।


উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে রাজ্য আছড়ে পড়েছিল আমফান ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের দাপটে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।