সৌভিক মজুমদার, রুমা পাল ও সমীরণ পাল: ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে সিলমোহর হাইকোর্টের। বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে স্থগিতাদেশ চেয়ে রেশন ডিলারদের একাংশের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হল ‘দুয়ারে রেশনে’র পাইলট প্রজেক্ট।


‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি রাজ্যের! চালু করা যাবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পে সিলমোহর দিল কলকাতা হাইকোর্ট।


দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কয়েকজন রেশন ডিলার। তাঁদের আবেদন বুধবার, খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বুধবার থেকেই শুরু হল দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে।



উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ। এর জন্য, ১৫ শতাংশ রেশন দোকান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে রেশনের সামগ্রী। 


খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে সুবিধা-অসুবিধা। এরপর সেই অনুযায়ী পরিস্থিতি বিচার করে পুরোদমে চালু করা হবে প্রকল্প। ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প পুরোপুরি কবে চালু হবে, মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতের পরই সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। 


‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন রেশন ডিলারদের একাংশ। ‘এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় আইনের পরিপন্থী। প্রকল্পের কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়া আইনবিরুদ্ধ। এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রেশন ডিলারদের নেই’, দাবি করেন মামলাকারীরা।



‘বাড়ি গিয়ে রেশন দিতে খরচ বহন করতে হবে ডিলারদের। গাড়ির খরচ, প্রচারের খরচ এবং সংরক্ষণের খরচ বহন করতে হবে,’ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। পাল্টা রেশন ডিলারদের দাবি, ‘এই বিপুল খরচ তাঁরা বহন করতে পারবেন না। দিল্লিতেও এই ধরনের প্রকল্প আনার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র অনুমোদন দেয়নি।’



‘প্রাপকের সুবিধার্থে তাঁরা আইন সংস্কার করতে পারেন। এতে ডিলারের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় না। রাজ্যের নির্দেশ মেনে চলতে রেশন ডিলাররা বাধ্য। পরিবহণ এবং অন্যান্য খরচ বহন করতে সাহায্য করছে রাজ্যের। এটি একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প, শুধু সেপ্টেম্বর মাসের জন্য,’ পাল্টা দাবি করে রাজ্য।