পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানকে সিবিআই তলব।কাল হলদিয়ায় সিবিআই ক্যাম্পে শেখ সুফিয়ানকে তলব।বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতাকে তলব।পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান।
বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিতে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে একাধিকবার উঠে এসেছে শেখ সুফিয়ানের নাম, এমনই খবর সিবিআই সূত্রের।
৩ মে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ১৩ মে কলকাতায় মৃত্যু হয় তাঁর।
সিবিআই তলবের ব্যাপারে এখনও শেখ সুফিয়ানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগগুলিতে তদন্ত করছে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের তদন্ত করতে কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামে পৌঁছন সিবিআই-এর এক প্রতিনিধি দল। নিহত বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘ সময় ধরে রুদ্ধদ্বার কক্ষে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পরের দিন ৩ মে দেবব্রতকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার ওপরে ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর ১৩ মে এস এস কে এম হাসপাতালে মৃত্যু হয় দেবব্রতর। সেই ঘটনায় কারা যুক্ত ছিলেন সেই সব বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে চান পরিবারের সদস্যদের কাছে। কিন্তু সূত্রের খবর, প্রথমে পরিবারের সদস্যরা কিছু জানাতে চাননি সিবিআই আধিকারিকদের। তখন সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের সদস্যদের কাছে জানতে চান কেন তারা কারও নাম বলতে চাইছেন না? সূত্রের খবর, তখন দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘আপনারা তো চলে যাবেন, তারপর আমাদের নিরাপত্তার কী হবে? ওদের নাম বললে, ওরা আমাদের ক্ষতি করবে।’ তখন সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের বলেন, ‘আপনারা নির্ভয়ে বলুন, আপনাদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হবে।’ এরপর সিবিআই-এর নির্দেশে দেবব্রতর বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। আর এই পুলিশি নিরাপত্তা খুশি দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা।