গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: তৃতীয় ঢেউ-এর আশঙ্কায় কৌশিকী আমাবস্যায় বন্ধ থাকছে তারাপীঠের মন্দির। জানানো হয়েছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির। ৬ দিন মন্দির বন্ধ থাকলেও মায়ের নিত্যপুজো হবে নিয়ম মেনে। এ দিন তারাপীঠে কৌশিকী আমাবস্যা নিয়ে মন্দির কমিটি, হোটেল মালিক, অটো ইউনিয়নদেরকে নিয়ে বৈঠকে করলেন প্রশাসন।
সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ আধিকারিক নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিনহা, তারাময় মুখ্যপাধ্যায় মন্দির কমিটি সভাপতিসহ আরও অনেকে।
কথিত আছে কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ফলে ওই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় বলেই মনে করেন দর্শণার্থীরা। এদিন কুম্ভস্নানও চলতে থাকে পাল্লা দিয়েই। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন।
কিন্তু করোনার কারণে এবার কৌশিকী অমাবস্যায় পুন্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করা হয়। মন্দির কমিটি তারাময় মুখ্যপাধ্যায় বলেন,'আগামী ৬-৭ সেপ্টেম্বর কোশিকী আমাবস্যা আছে সেটা এই বছরেও মন্দির বন্ধ থাকবে। পূর্ণাথীদের পুজো দেওয়া বন্ধ থাকবে। প্রতিবছরই বহু মানুষের সমাগম হয় এই দিন। তাই এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিক মাথায় রেখেই জমায়েতে রাশ টানার সিদ্ধান্ত। ভিড় এড়াতে তাই প্রবেশাধীকার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে চার মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল হাজারদুয়ারি। লাগামহীন করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে প্রায় ৪ মাস বন্ধ ছিল অন্যতম পর্যটন ক্ষেত্রে। আজ কেন্দ্রের সমস্ত অধীনস্থ স্মৃতিসৌধ ও প্রদর্শনী শালা খুলে দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মুর্শিদাবাদের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হাজারদুয়ারি।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফে এই নির্দেশ আসার সঙ্গে সঙ্গেই তালা পরে যায় হাজারদুয়ারীতে। ফিরে আসে ২০২০-এর মার্চ মাসের খাঁ খাঁ করা সেই ছবিটা। পর্যটকদের ভিড় এড়াতে রাতারাতি বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সৌধগুলি। অবশেষে মঙ্গলবার থেকে হাজারদুয়ারি খুলল। তবে রাজ্যে একাধিক করোনা বিধিনিষেধ থাকায় ছবিটা কার্যতই অন্যরকন। এদিন হাজারদুয়ারিতে পর্যটক সংখ্যা ছিল হাতে গোনা।