সুমন ঘড়াই, কলকাতা: রেশন উপভোক্তাদের প্রকৃত তালিকা হাতে পেতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। এবার থেকে প্রতি মাসে জন্ম-মৃত্যুর পঞ্জিকরণ দফতরের আধিকারিকদের মৃতের তালিকা পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারের কাছে। জমা দিতে হবে সমব্যথী প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকাও।


জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প।  আর তাতেই সামনে এসেছে এক বাস্তব এক ছবি। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে আগেই চালু ছিল ১০ লক্ষ ৪০ হাজার রেশন কার্ড। 


‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের পর রাজ্যের রেশন গ্রহীতাদের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১০ লক্ষ ৬০ হাজার হতে পারে। এই পরিসংখ্যানেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যে রেশন কার্ড সারেন্ডার করার সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য।


রাজ্যের যে সমস্ত বাসিন্দার মৃত্যু হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের পরিবার মৃতের নামে থাকা রেশন কার্ড সারেন্ডার করছে না। এই প্রবণতা রুখতে তৎপর হল রাজ্য সরকার। জারি করা হল নতুন নির্দেশিকা। এবার থেকে প্রতি মাসে জন্ম-মৃত্যুর পঞ্জিকরণ দফতরের আধিকারিকদের মৃতের তালিকা পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারের কাছে। 


আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে শেষকৃত্যের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমব্যথী প্রকল্পে দেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। ফলে মৃতের প্রকৃত তালিকা হাতে পেতে সমব্যথী প্রকল্পে নথিভুক্ত নামও খাদ্য দফতরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


সূত্রের খবর, প্রতিবছর রেশন বাবদ রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার থেকে খরচ হয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।  নবান্ন সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দিয়ে রেশন উপভোক্তাদের প্রকৃত তালিকা পেলে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বাঁচবে সরকারের।


আরও পড়ুন: বাড়ি গিয়ে রেশন দেওয়ার প্রকল্পে হাইকোর্টের সিলমোহর, শুরু হল দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট


আরও পড়ুন: রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকেই করা যাবে রেশন কার্ড-আধার সংযুক্তি, জারি নির্দেশিকা